ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগে এক প্রৌঢ়ের যৌনাঙ্গে ব্লেড দিয়ে আঘাত করলেন এক বধূ। মাথাতেও কুড়ুলের কোপ মারা হয়। এই মর্মে বুধবার তালড্যাংরার আগয়া গ্রামের ওই বধূ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ গিয়ে ওই প্রৌঢ়কে গুরুতর জখম অবস্থায় অভিযোগকারিণীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
তালড্যাংরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক পরিচর্যা করার পরে তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ জানায়, পছর পঞ্চান্নর ওই প্রৌঢ়ের নাম আইনুদ্দিন দালাল। তালড্যাংরা থানার মল্লিকডাঙা গ্রামে তাঁর বাড়ি। জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “বধূটি অভিযোগ করেছেন, আইনুদ্দিন তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে আত্মরক্ষা করার জন্য তিনি ওকে আঘাত করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আইনুদ্দিন সুস্থ হলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে আগয়া গ্রামের ওই বাড়ির ভিতরে গোঙানির শব্দ শুনে পড়শিরা ভিড় করেন। তাঁরে দেখেন, ওই প্রৌঢ় যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। সেই সময় ওই বাড়ির বধূ পড়শিদের কাছে অভিযোগ করেন, তিনি স্নান সেরে বাড়ি ঢুকছিলেন। সেই সময় তাঁর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। ওই প্রৌঢ় তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করতে আত্মরক্ষার্থে তিনি ব্লেড নিয়ে আঘাত করেন। কুড়ুলও চালান। পরে পুলিশের কাছেও তিনি অভিযোগ করে এ কথা জানান। পুলিশ এসে পরে ওই প্রৌঢ়কে উদ্ধার করেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর যৌনাঙ্গের আঘাত গুরুতর। মাথাতেও চোট রয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, আইনুদ্দিন তাঁদের কাছে দাবি করেছেন, ওই অভিযোগকারিণীর স্বামী চাষের সার কেনার জন্য ৫০০ টাকা ধার নিয়েছিলেন। এ দিন তাঁকে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। টাকা নিতে ওই বাড়িতে গেলে বধূটির স্বামী পরিকল্পিত ভাবেই তাঁকে খুনের চেষ্টা করেন। আইনুদ্দিনের ছেলে আমির উল দালাল বলেন, “ধান চাষের সার কেনার জন্য বাবার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে ওরা দীর্ঘদিন ফের দেননি। বাবা সেই টাকা আনতে গিয়েছিল। টাকা তো দেয়নি। উল্টে ওই বধূর স্বামী বাবাকে ঘরে ঢুকিয়ে খুন করার চেষ্টা করে।” পুলিশ সুপার জানান, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই প্রৌঢ়ের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। |