ইস্টবেঙ্গল-কালীঘাট মিলন সংঘের ম্যাচ গড়াপেটা ছিল কি না তা নিয়ে বোমা ফাটালেন দেশের সফলতম কোচ আর্মান্দো কোলাসো। “যে ভাবে গত কালের ম্যাচটাকে হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, এ দেশের ফুটবলে তার দ্বিতীয় নজির নেই। আমার দীর্ঘ ফুটবলার আর কোচিং জীবনে বহু ঘটনা দেখেছি। এ রকম প্রহসন দেখিনি। দেশের সেরা ডিফেন্ডাররা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল খাচ্ছে! আবার পরমুহূর্তেই পেনাল্টিতে গোল শোধ হয়ে যাচ্ছে।”
ফেড কাপের সেমিফাইনাল খেলতে শিলিগুড়ি এসেছেন পাঁচ বার আই লিগ জয়ী কোচ। জামশেদপুরে খারাপ মাঠে খেলতে হয়েছিল বলে শহরে পৌঁছে মঙ্গলবার দুপুরে পুরো টিমকে নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম দেখতে গিয়েছিলেন ডেম্পো কোচ। “খেলার পর মাঠটা দেখার জন্য বসেছিলাম। না হলে চলে আসতাম টিমকে নিয়ে। ছেলেদের এ সব দেখতেও দিতাম না। গ্যালারিতে শুনলাম সবাই বলাবলি করছিল দু’গোল খেল, এ বার পাঁচ গোল দেবে?” ৪-৩-এর ম্যাচ। কেন এটাকে গড়াপেটা বলছেন? কীসের ভিত্তিতে? |
“রাজু গায়কোওয়াড় দেশের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার। সদ্য নেহরু কাপ জিতে এসেছে। অর্ণব মণ্ডল অভিজ্ঞ ছেলে। ভাল স্টপার। তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তিন গোল খাচ্ছে। এত দিন কোচিং করছি, জানি না কে কী খেলতে পারে? আমি ডেম্পোতে এটা হতে দিতামই না। এ সব করলে টিমের মনোবল ভেঙে পড়ে।” কিন্তু ইস্টবেঙ্গল তো পরে গোল শোধ করেছে। ন্যায্য পেনাল্টি থেকে? চটে যান আর্মান্দো। “এখানকার মুখ্যমন্ত্রীর দাদার টিম বলেই আগ্রহ ছিল। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ওরা কী রকম খেলে দেখতে গিয়েছিলাম। যা দেখলাম। পেনাল্টিগুলো কী ভাবে হয়েছিল সবাই দেখেছেন।” বলার পর হাসতে হাসতে তাঁর সংযোজন, “এই যে বলছি, কাল সকালে কাগজ পড়ে আবার স্বপন (বল) ফোন করবে দাদা আপনি এগুলো বলছেন। কিন্তু আমাকে বলতেই হচ্ছে। কারণ এতে ফুটবলের ক্ষতি হচ্ছে।”
গোয়ার ডার্বি শুক্রবার। করিম বেঞ্চারিফার সালগাওকরের বিরুদ্ধে ডেম্পো খেলতে এসেছে দুই বিদেশিকে নিয়ে। কোকো আর সুয়েকা। অন্য দুই বিদেশি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড থেকে আসা রোহন রিকেটস আর ঘানার স্টিফেন অফেকে রেখে এসেছেন গোয়ায় ফিট নন বলে। র্যান্টি মার্টিন্স ছাড়া বহু দিন পর একটা টুর্নামেন্ট খেলছে ডেম্পো। র্যান্টির বদলি কী পেলেন? কোলাসো বলে দেন, “র্যান্টির বদলি তো আমি। আর একজন র্যান্টি তৈরি করব। সেটা আমার কাজ। বেটো তো চলে গিয়েছিল। আমরা কি আইলিগ জিতিনি?”
দেশের এমন কোনও ট্রফি নেই আপনি পাননি। আই লিগ জেতায় রেকর্ড করেছেন? এর পর আপনার আর কী পাওয়ার আছে। বরাবরই ঠোঁটকাটা বলে পরিচিত আর্মান্দো বলেন, “আমি কি দ্রোণাচার্য পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য নই? এ বার অলিম্পিকের জন্য পাইনি। পরের বার নিশ্চয়ই পাব। এর বাইরে আর কোনও লক্ষ্য নেই আমার।” |