ছাত্র সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা ছড়াল গোঘাটের কামারপুকুর কলেজ। অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি বাধে। বুধবার দুপুরে এই ঘটনায় জখম হয়েছেন ১২ জন। পাঁচ জনকে ভর্তি করা হয়েছে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। দুই গোষ্ঠীই ‘বহিরাগত’দের নিয়ে আসে বলে অভিযোগ। ক্লাস বন্ধ করে পুলিশে খবর দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। পুলিশ লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোনও পক্ষই অবশ্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অধ্যক্ষ রামচন্দ্র পালও মন্তব্য করতে চাননি। সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে তৃণমূল ছাত্র-পরিষদের হুগলি জেলা সভাপতি শুভজিৎ সাউ বলেন, “বিষয়টি নিয়ে উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করছি।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজে ‘প্রভাব’ বিস্তার করা নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। প্রায়ই ছোটখাট মারপিট হয়। মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র নেতা ফিরোজ আলির অভিযোগ, “কিছু ছেলে প্রায় প্রতিদিনই মদ্যপ বহিরাগতদের নিয়ে এসে কলেজে ঝামেলা পাকাত। তারা কলেজ শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদেরও গালাগালি করত। এমনকী, ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গেও অশালীন আচরণ করত। এ দিন কল্যাণ দে, তন্ময় দে, আবু আয়েসদের মতো কয়েক জন ছাত্র বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে ঢুকে শিক্ষকদের গালমন্দ করছিল। আমরা প্রতিবাদ করতেই লাঠি নিয়ে চড়াও হয়।” অন্য পক্ষের ছাত্র নেতা কল্যাণ বলেন, “বহিরাগতদের নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই মস্তানি করা হচ্ছিল কলেজে। তাতে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। কলেজের এই পরিবেশের প্রতিবাদ করতে গেলে ফিরোজ ও তার দলবল লাঠি নিয়ে চড়াও হয়।” |