|
|
|
|
হাজতে মৃত্যুর ১৯ বছর পর চার পুলিশের জেল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
পুলিশ লকআপে মৃত্যু হয়েছিল ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত নুরুল হকের। ঘটনার ১৯ বছর পর এ বার চার পুলিশ অফিসারকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত। তাঁদের মধ্যে হাইলাকান্দি থানার সে সময়ের ওসি বিনন্দ ফুকন ডিএসপি হিসেবে কবেই চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন।
এসআই আব্দুল হাই চৌধুরী বর্তমানে হাইলাকান্দি সদর থানার ওসি, এসআই পি কোঁয়র ধোয়ারবন্দ ফাঁড়ির ইনচার্জ এবং কনস্টেবল বিলালউদ্দিন এখন পাঁচগ্রাম থানার এএসআই। কারাদণ্ডের সঙ্গে তিন জনের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত এক বছর কারাবাসের কথাও শুনিয়ে রেখেছেন হাইলাকান্দির জেলা ও দায়রা বিচারক নবকমল বরা।
ঘটনা ১৯৯৩ সালের। ডাকাতির অভিযোগে অভিযুক্ত নুরুল হককে পুলিশ ৯ মার্চ গ্রেফতার করে। কিন্তু আদালতে তোলে ১১ মার্চ। পরে তিন দিনের জন্য তাকে ফের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে। সে রাতেই তাকে মারধর করা হয়। পর দিন আদালতের নির্দেশ ছাড়াই পুলিশ তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। ১৩ মার্চ হাইলাকান্দি সিভিল হাসপাতালে মৃত্যু হয় নুরুলের।
এই ঘটনায় তখন জেলা জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। হাইলাকান্দি বার কাউন্সিল সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানায়।
২০০৪ সালের জানুয়ারিতে মামলার তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ৪৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় তারা। এদের মধ্যে ছিল মৃতদেহের ময়না-তদন্তের রিপোর্টে যিনি সই করেছিলেন, সেই চিকিৎসকও। বাকিরা পুলিশের লোক। দুই অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টরের এর মধ্যে মারা গিয়েছে। জেলা ও দায়রা বিচারক নবকমল বরা অবশ্য চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করে চিকিৎসক-সহ অন্যদের অব্যহতি দেন। দোষী চার জনই জানিয়েছেন, তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন। |
|
|
|
|
|