টুকরো খবর
সিওয়ানে বাস-ট্রেন ধাক্কা, মৃত সাত ছাত্র
বিহারের সিওয়ানের কাছে বাঘ এক্সপ্রেসের সঙ্গে একটি বাসের ধাক্কা লেগে সাত জন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২০ জন। মৃত ও আহতদের সকলেই সিওয়ানের মার্বেল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র। আহতদের সিওয়ানের সর্দার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ট্রেনটি হাওড়া থেকে কাঠগুদাম যাচ্ছিল। সিওয়ানের চাপধালার কাছে একটি লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা ঘটে বুধবার বেলা ৩টে নাগাদ। ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে গেলেও যাত্রীদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ওই রেলগেটে রক্ষী থাকা সত্ত্বেও বাসটি কী করে ঢুকে পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উত্তর-পূর্ব রেল সূত্রের খবর, লেভেল ক্রসিংটি (৯০ নম্বর) প্রহরী-হীন নয়। সেখানে রক্ষী থাকার কথা। তা হলে দুর্ঘটনা ঘটল কী ভাবে? কলেজ ছুটির পরে বাসটি ছাত্রদের নিয়ে ফিরছিল। বাঘ এক্সপ্রেস যখন সিওয়ানের দিকে যাচ্ছিল, সেই সময়েই বাসটি লেভেল ক্রসিংয়ে ঢুকে পড়ে। ট্রেনের ইঞ্জিন ধাক্কা মারে বাসের পেটে। বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়, ছিটকে পড়ে অনেক দূরে। সংঘর্ষের প্রচণ্ড আওয়াজ শুনে আশপাশ থেকে মানুষজন ছুটে আসেন। তাঁরাই মৃত ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। প্রাথমিক তদন্তে রেলকর্তাদের অনুমান, ট্রেন আসা সত্ত্বেও গেটটি খোলা ছিল। কারণ গেটের লোহার দণ্ডটি ভেঙে অবিকৃত রয়েছে। অর্থাৎ বাসটি গেট ভেঙে লাইনের উপরে উঠে পড়েনি। গেটম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে রেল পুলিশ। পরে অন্য ডিভিশন থেকে ইঞ্জিন এনে ট্রেনটিকে ফের গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। দুর্ঘটনার জন্য ট্রেনটির ছাড়তে প্রায় চার ঘণ্টা দেরি হয়েছে। রেলের পক্ষ থেকে মৃতদের মাথাপিছু পাঁচ লক্ষ এবং আহতদের এক লক্ষ করে এককালীন অনুদান ঘোষণা করা হয়েছে।

আইন প্রতিষ্ঠার নামে আইনের অপব্যবহার নয়
গোটা দেশ জুড়েই পুলিশের বিরুদ্ধে নিরাপরাধ মানুষকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে বার বার। দেখা গেল শীর্ষ আদালতের কাছেও বিষয়টি অজানা নয়। আজ সন্ত্রাস সংক্রান্ত একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে সেটি স্পষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। হিন্দি ছবি ‘মাই নেম ইজ খান’-এর ডায়ালগ তুলে ধরে বিচারপতি এইচ এল দাত্তু এবং বিচারপতি সি কে প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে হেনস্থা করার জন্য আইনের অপব্যবহার করা যায় না। ১৯৯৪ সালে গুজরাতের আমদাবাদে রথযাত্রার সময় দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত ১১ জনকে আজ বেকসুর মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই রায় ঘোষণার পরেই সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, “এসপি, আইজি এবং পুলিশের অন্য পদাধিকারী কর্তাদের আইন প্রতিষ্ঠার কাজ করতে গিয়ে এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে আইনের বিকৃতি বা অপব্যবহার হয়। এবং পুলিশকে এটাও নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কোনও নিরপরাধ মানুষের মনে না হয়, “মাই নেম ইজ খান, আর আমি কোনও সন্ত্রাসবাদী নয়।” এর আগে সন্ত্রাস-বিরোধী আদালত ওই ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ১১ জন। তাঁদের মুক্তি দেওয়ার কারণ হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মামলায় টাডা-র ২০-এ (১) ধারা অনুযায়ী প্রাথমিক শর্তটুকুও মানেনি রাজ্য সরকার। এই আইন অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে এফআইআর করতে গেলে এসপি-র অনুমতি নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি।

অস্ত্র-সহ জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ
মুখ্যমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে মূল স্রোতে ফিরল মণিপুরের ১১৪ জন জঙ্গি। আজ ইম্ফলের মন্ত্রীপুখুরিতে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ ছাড়াও হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাইখংবাম, মুখ্যসচিব ডি এস পুনিয়া, ডিজি ওয়াই জয়কুমার সিংহ, আসাম রাইফেল্স-এর মেজর জেনারেল ইউ কে গুরুং। ইউএনএলএফ, পিএলএ, কেসিপি, কেওয়াইকেএল, ইউটিএলএ, প্রিপাক, কেএনএলএফ, ইউএনপিসি, এনএসসিএন (খাপলাং), কেপিআরএ, কেআরএফ, ইউপিপিএকে ও পিইউএলএফ সংগঠনের জঙ্গিরা একে সিরিজের কয়েকটি রাইফেল, বেশ কিছু কার্বাইন, কয়েকটি লিথড গান, প্রচুর পিস্তল ও রিভলভার জমা দেয়। জঙ্গিদের শান্তির পথে স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভুল পথ ছেড়ে সমাজে ফিরে এসে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওঁরা। আশা করি বাকিরাও এঁদের দেখে শিক্ষা নেবেন।” অবশ্য, এতজন জঙ্গিকে এক সঙ্গে আত্মসমর্পণ করিয়েও বিতর্ক আসাম রাইফেল্সের পিছু ছাড়ছে না। সম্প্রতি, দুই আত্মসমর্পণ করা জঙ্গিকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। চলছে প্রতিবাদ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যদি অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে দোষীরা অবশ্যই শাস্তি পাবেন।”

শ্লীলতাহানির অভিযোগে থানা ঘেরাও
দুই আদিবাসী তরুণীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে আজ দুপুর থেকে ঘাটশিলার মুসাবনিতে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগের আঙুল সিআরপি-র তিন জওয়ানের দিকে। অভিযুক্ত জওয়ানদের কঠোর শাস্তির দাবিতে মুসাবনি থানা ঘেরাও করে করেন আদিবাসীরা। একই দাবিতে চলে থানা সংলগ্ন রাস্তা অবরোধও। পুরুষদের সঙ্গে থানা ঘেরাও, রাস্তা অবরোধে যোগ দিয়েছেন আদিবাসী মহিলারাও। রাত পর্যন্ত ঘেরাও অবরোধ চলে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ এ দিন সকালের দিকে মুসাবনি রোড ধরে তাদেরই আত্মীয় এক আদিবাসী যুবকের সঙ্গে যাচ্ছিলেন দুই আদিবাসী তরুণী। হঠাৎ পিছন থেকে তিনজন সিআরপি জওয়ান এসে যুবককে মারধর করে। অশ্লীল মন্তব্য করে দুই তরুণীকে টেনে নিয়ে শ্লীলতাহানি করে। পূর্ব সিংভূম জেলার পুলিশ কর্তারা জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুসাবনি থানা এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

অজিতের ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার চান এনসিপি বিধায়করা
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের পদত্যাগ মেনে নিতে পারছেন না এনসিপি বিধায়করা। তাই তাঁরা চান নিজের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে ফের মন্ত্রিসভায় যোগ দিন অজিত। সেচ কেলেঙ্কারির অভিযোগে কাল ইস্তফা দিয়েছেন অজিত। এ নিয়ে আজ বিধান ভবনে বৈঠকে বসেন এনসিপি বিধায়করা। বৈঠকে এনসিপি-র বিধায়করা ছাড়াও ছিলেন দলের সমর্থক নির্দল বিধায়করা। আলোচনার পরে এনসিপি-র রাজ্য সভাপতি মধুকর পিছাড় বলেন, “সর্বসম্মত ভাবে অজিতকে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।” সিদ্ধান্ত হয়েছে, মধুকর পিছাড় ব্যাপারটি এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারকে জানাবেন। তার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন। তবে ভাইপো অজিত মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেও কলকাতায় এ দিন শরদ পওয়ার বলেন, “এনসিপি মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে আগের মতই সমর্থন করবে। উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের সঙ্গে সমর্থন তোলা না তোলার কোনও সম্পর্ক নেই।”

গ্রেফতার জঙ্গি
সেনার হাতে ধরা পড়ল এক আলফা সদস্য। উদ্ধার হল দু’টি বোমা। ঘটনাটি ঘটেছে ধুবুরির গোলোকগঞ্জে। পুলিশ জানায়, সেনাবাহিনীর রেড হর্ন ডিভিশনের জওয়ানরা ছাগলিয়া ২ নম্বর গ্রামে হানা দিয়ে প্রকাশ মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে একটি দেশি রিভলভার, দু’টি আইইডি বোমা, ইস্পাতের বল, পেরেক, লোহার রড উদ্ধার করেছে।

সঙ্গীকে খুন
‘লিভ-ইন পার্টনার’কে খুনের অভিযোগে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। রিতা আলমেডা নামে ওই মহিলার বুকে গুলির চিহ্ন মিলেছে।

জালে সাত
হিসারে দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আরও সাত জনকে বুধবার গ্রেফতার করল পুলিশ। এই ঘটনায় মোট ন’জনকে ধরা হয়েছে।

মহিলাকে গণধর্ষণ
বন্দুকের নল ঠেকিয়ে দলিত মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনার ছবি গ্রামে ছড়িয়েছে তারা। হরিয়ানার জিন্দের ঘটনা। দু’জন ধরা পড়েছে।

নদীতে বাস
যাত্রী বোঝাই বাস সেতু থেকে পড়ে গেল পূর্ণা নদীতে। মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। আহত ৩০। মৃতদের মধ্যে আছে কিছু স্কুলপড়ুয়াও। মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলার ঘটনা।

ক্ষতিগ্রস্ত বিমান
যাত্রিবাহী বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হল বিমান। চেন্নাই বিমানবন্দরের ঘটনা। বেঙ্গালুরুগামী ওই বিমানের ৪৮ জন যাত্রী যদিও সুরক্ষিত।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.