|
|
|
|
টানা বৃষ্টি, জল বাড়ল ব্রহ্মপুত্রে |
ফের বন্যা ধুবুরিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধুবুরি |
টানা তিন দিন ধরে বৃষ্টি এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় ফের বন্যার কবলে পড়েছে ধুবুরি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদীর জল বিপদ সীমার ১ মিটার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। তাতে ধুবুরি শহরের কয়েকটি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
শহরের এনএস রোড, দুর্গাদাস রোড, চক বাজার, নিউ মার্কেট, শান্তিনগর, পঞ্চুঘাট, পালপাড়া, বাহাদুরটারি এলাকায় কোথাও এক হাটু জল, কোথাও এক কোমর জল। শহরের নিকাশি নালাগুলি উপচে পড়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে জল ঢুকতে শুরু করেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডগুলিতে। জেলা প্রশাসন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় ধুবুরিতে ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর আরও ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপার আসমে বন্যা পরিস্থিতির পর ব্রহ্মপুত্রের এই জলে এখন প্লাবিত ধুবুরি। এ বছর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ব্রহ্মপুত্রের জল বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ধুবুরির দক্ষিণ শালমারা, মানকাচর মহকুমার শতাধিক গ্রামের বাসিন্দারা জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি ভাঙন পরিস্থিতির জেরেও চর এলাকার লক্ষাধিক বাসিন্দা বিপদের মুখে পড়েছেন। বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ায় বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছেন উঁচু জায়গা। প্রশাসনের তরফে এখনও ত্রাণ শিবির খোলা হয়নি বলে মানুষ অভিযোগ তুলেছেন। জেলাশাসক কুমুদ কলিতা বলেন, “ব্রহ্মপুত্রের জল আচমকা বেড়ে যাওয়ায় বিপত্তি দেখা দিয়েছে। তবে বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য জেলা প্রশাসন প্রস্তুত। বানভাসিদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।”
অন্য দিকে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তপ্ত অসমের ধুবুরিতে গত দুই মাস ধরে কার্ফু জারি রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল ৫ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তাতে স্বস্তি পেলেও বন্যা পরিস্থিতির জেরে বিপাকে বাসিন্দারা। |
|
|
|
|
|