|
|
|
|
নতুন করে ভাসল নামনি অসম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
উজানি অসমে বন্যার তোড় কমলেও নামনি অসমের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হল। রাজস্ব ও বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের মন্ত্রী পৃথ্বী মাঝির মতে, এ বারের দ্বিতীয় দফায় বন্যার রূপ অস্বাভাবিক। রাজ্যের মোট ২০টি জেলা এখনও পর্যন্ত বন্যা কবলিত।
গুয়াহাটির আমিনগাঁও, মালিগাঁও, পাণ্ডু, উজান বাজার-সহ বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। ফ্যান্সিবাজার এলাকায়, ব্রহ্মপুত্রের জল পাড় ছাপাতে চলেছে। এ দিন, মাছখোয়া ও ছয়গাঁওতে বানের জলে ভেসে আসা দু’টি অজগর মিলেছে। কাজিরাঙায় ভেসে এসেছে একটি খড়্গ-কাটা গন্ডারের দেহ। গুয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্র ৫০.৭০ মিটার উচ্চতায় বইছে। যা বিপদসীমা থেকে ৯৮ সেন্টিমিটার বেশি। প্রশাসন, বালির বস্তা, পাম্প নিয়ে তৈরি। |
|
রাস্তা যখন নদী। গুয়াহাটি শহরের একাংশ এমনই জলমগ্ন। ছবি: উজ্জ্বল দেব |
১৯৯৮ সালের পরে গুয়াহাটির এমন বানভাসি অবস্থা হয়নি। পাণ্ডুতে, রেলওয়ে নালার মুখে শাটার বসিয়েছে জলসম্পদ বিভাগ। এখান দিয়েই ব্রহ্মপুত্রের জল প্রথম ঢোকা শুরু করে। গারিগাঁও এলাকায় ফোগিজান গেটের মুখ বালির বস্তা দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।
এ দিকে, ব্রহ্মপুত্রের জল বেড়ে নামনি অসমের বরপেটা, গোয়ালপাড়া, বঙ্গাইগাঁও ও ধুবুরির অন্তত ৫০০ গ্রাম ভাসিয়ে দিয়েছে। ধুবুরি শহরের ১ মিটার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র। ধুবুরির ৮টি ওয়ার্ড জলে ভাসছে। বহু স্কুলে জল ঢুকে পড়াশোনা বন্ধ। দক্ষিণ শালমারার ১০০ গ্রাম বানভাসি। মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ধুবুরি, দক্ষিণ শালমারা, মানকাচর, বিলাসিপাড়া মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ত্রাণে ব্যবহার করা হচ্ছে ৩৯টি নৌকা। বরপেটায় ১২৮টি গ্রাম বন্যার কবলে। মাজুলির ৮০ শতাংশ এখনও জলের তলায়। তবে তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, ধেমাজি, লখিমপুরে আজ নতুন করে জল বাড়েনি।
মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এখন টোকিওয়। বিরোধীরা তাঁর সমালোচনায় মুখর।
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, বন্যা ভয়াবহ চেহারা নেওয়ায় গগৈ আগামী কাল দেশের উদ্দেশে রওনা হতে পারেন। দ্বিতীয় পর্যায়ের বন্যা সামালাবার জন্য আজ রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরী বিভাগের মন্ত্রী গৌতম রায়ের দফতরে একটি বৈঠক হয়। অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতেও ক্যাবিনেট সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। |
|
|
|
|
|