ডুয়ার্সের বক্সা রোড থেকে জয়ন্তী পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভরা পর্যটন মরশুমে ছোট গাড়িও চলতে পারছে না ওই পথে। প্রশ্ন উঠেছে পর্যটকরা সেখানে বেড়াতে আসবেন কেমন করে! স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এ বার এলাকার পর্যটন ব্যবসা মার খাবে। পূর্ত দফতরের কর্তারা অবশ্য বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে জানান, ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হবে। এ জন্য ইতিমধ্যে প্রায় ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দফতরের (সড়ক) আলিপুরদুয়ারের সহকারী বাস্তুকার অনিলকুমার সিংহ বলেন, “বক্সা মোড় থেকে জয়ন্তী বনবস্তি পর্যন্ত যাতায়াতের রাস্তা মেরামতের কাজ দ্রুত শুরু হবে। পাশাপাশি বালা নদীর উপর দিয়ে গাড়ি চলার জন্য যে কংক্রিটের রাস্তা রয়েছে সেটাও মেরামত করা হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্দ হয়েছে।” কিন্তু পূর্ত কর্তারা যাই বলুন না কেন কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের কেউ ভরসা পাচ্ছেন না। জয়ন্তী গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক শেখর ভট্টাচার্য বলেন, “এমনিতেই বনদফতর প্রবেশ মূল্য বৃদ্ধি করায় এ বার পর্যটক সংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার উপরে রাস্তা দেখে কে আসবে এখানে! ওই পরিস্থিতি চলতে থাকলে জয়ন্তীর পযর্টন ব্যবসা শেষ হয়ে যাবে।” বাসিন্দারা জানান, রাজাভাতখাওয়া থেকে বক্সা মোড় পর্যন্ত রাস্তা কিছুটা ভাল। এর পরে জয়ন্তী বনবস্তি পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা খানাখন্দে ভরেছে। পিচের চাদর উড়েছে অনেকদিন আগে। পাথর ভরা পথে ছোট যানবাহনও চলতে পারছে না। গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটন মরশুম শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। রাস্তার জন্য এলাকায় এখনও পর্যটকদের ভিড় জমেনি। অনেকে ফিরে চলে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি দেখে পর্যটন সংস্থার কর্তাদের আশঙ্কা, পুজোর আগে রাস্তা মেরামত করা না হলে এ বার পর্যটকরা জয়ন্তীতে বেড়াতে যেতে রাজি হবে না। বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে সমস্যার কথা পূর্ত কর্তাদের জানানো হলেও লাভ হয়নি। তাঁরা শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। জয়ন্তীর লজ ব্যাবসায়ী পার্থ রায় ও মানব বক্সি বলেন, “বেহাল রাস্তার জন্য অনেক পযর্টক ক্ষোভের কথা জানাচ্ছেন। কিন্তু কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত আমরা কী বলব!” |