বিশ্ব পযর্টন দিবস উপলক্ষে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে দিঘায় শুরু হচ্ছে পর্যটন উৎসব। আর তার সঙ্গেই পর্যটকদের রসনা তৃপ্তির জন্য আয়োজন করা হয়েছে ইলিশ উৎসবেরও। পযর্টন দিবস একদিনের জন্য হলেও ইলিশ উৎসব চলবে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর দু’দিন ধরে।
মঙ্গলবার বিকেলে দিঘা মোহনায় দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ও দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে যৌথভাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়নের নিবার্হী আধিকারিক সৌমেন পাল বলেন, “পযর্টন উৎসব উপলক্ষে দিঘায় আসা পযর্টকদের বিনোদনের জন্য নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি পযর্টকদের রসনা তৃপ্তির জন্য দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজন করেছে ইলিশ উৎসব।” |
সৌমেনবাবু জানান, উৎসবের অঙ্গ হিসেবে নিউ দিঘার সৈকত জুড়ে বিচভলি, কবাডি, খো-খো খেলা এবং ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা থাকছে। এছাড়াও পযর্টকদের নিয়ে ক্যুইজ ও নানা ফান গেমসের আয়োজনও রয়েছে। সন্ধ্যায় ওল্ড দিঘায় আয়োজন করা হয়েছে কলকাতার শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ইলিশ উৎসবের আয়োজক দিঘা ফিশামেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব শ্যামসুন্দর দাস জানান, দিঘা মোহনাতে এর আগে একাধিকবার সামুদ্রিক মাছ নিয়ে সি-ফুড ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা হলেও ইলিশ উৎসবের এই প্রথম। দিঘায় আসা পযর্টকদের জন্য জিভে জল আনা ইলিশের সাতটি পদ নিয়েই এই উৎসব শুরু হবে। সপ্তপদী ইলিশ সম্ভারে থাকবে ইলিশ পাতুরী, ইলিশ ভাপা, সর্ষে ইলিশ, দই ইলিশ, ইলিশ ভাজা, ইলিশ কচু আর তেঁতুল ইলিশ। এছাড়াও সমুদ্র সৈকতে সামিয়ানার নিচে বসে সমুদ্র গর্জনের আওয়াজ উাভোগের সঙ্গে সঙ্গে সপরিবারে দিন-রাতের খাওয়াদাওয়া করারও ব্যবস্থা থাকবে। সেক্ষেত্রে জনপ্রতি প্যাকেজ ধরা হয়েছে মাত্র ১২০ টাকা। কোনও পর্যটক বাড়িতে কাঁচা ইলিশ নিয়ে যেতে চাইলে রয়েছে তারও ব্যবস্থা।
রাত পোহালেই বিশ্ব পযর্টন দিবস। তাই শেষ মুহুর্তে সৈকত সুন্দরী দিঘাকে পযর্টকদের কাছে আরও মোহময়ী করে তুলতে জোর কদমে চলছে সাজসজ্জা। সুদৃশ্য মঞ্চ, তোরণ, ত্রিফলা আলো, রাস্তার ধারে খোলা জায়গায় ফুল আর পাতাবাহার গাছের বাগান, ও রঙিন আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে এই সৈকত শহরকে। |