সিপিএমের পার্টি অফিসে ঢুকে নেতা কর্মীদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা-১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকরতলা থানা এলাকার বড়রা গ্রামে।
সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলের বাধায় বেশ কিছু দিন বন্ধ থাকা তাঁদের খয়রাশোলের হিংলো (লোকাল) পার্টি অফিস খুলে একটি সভা পরিচালনার কাজ চলাচ্ছিলেন তাঁরা। উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্পাদক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাধন ঘোষ, জোনের সম্পাদক তপন দাশগুপ্ত-সহ কয়েকজন নেতাকর্মী। সভার কাজ চলাকালীন কিছু তৃণমূল আশ্রিত সশস্ত্র দুষ্কৃতী পার্টি অফিসে ঢুকে কাগজপত্র ছিঁড়ে দেয়। সভার কাজে বাধা সৃষ্টি করে এবং নেতা কর্মীদের হেনস্থা করে। জেলা সম্পাদক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “এমনিতেই বেশ কিছু দিন এই পার্টি অফিসটি খুলতেই দিচ্ছিল না তৃণমূল। এ দিন মূলত সভা ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। জোন সম্পাদকের হতে থাকা টাকা ভর্তি ব্যাগ কেড়ে নেয় ওরা। পুলিশ এসে যাওয়ায় তারা পালিয়ে যায়।”
দিলীপবাবুর দাবি, “৬-৭ জনকে চিনতে পারা গিয়েছে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করব।” অন্যদিকে, ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের দলের কেউ জড়িত ছিলেন না বলে দাবি তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর পাল্টা দাবি, “মাস তিনেক আগে ওই অঞ্চলের তৃণমূল নেতা তথা ব্যবসায়ী গোলাম সাব্বির কাদেরী খুন হন দুবরাজপুর। ওই খুনে অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল সিপিএমের ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকজন নেতারও। এদের মধ্যে কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, কাউকে ধরতে পারেনি। এই নিয়ে এলাকায় একটা বিরুপ প্রভাব রয়েছে। এদিনের ঘটনা সেই করণেও হতে পারে।” পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। |