দলের কাউন্সিলর হওয়া সত্ত্বেও পুরপ্রধান তাঁদের ‘উপেক্ষা’ করছেন। এই অভিযোগে পুরপ্রধানের কাছে স্মারকলিপি দিল ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ। উপস্থিত ছিলেন খোদ কাউন্সিলার ও প্রাক্তন উপপুরপ্রধান আব্বাস হোসেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ বাসিন্দা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। কিন্তু পুরপ্রধান ঈদের সময় এলাকার জঞ্জাল পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেননি। ঈদ চলে যাওয়ার পরও এলাকায় যেখানে সেখানে আবর্জনা জমে রয়েছে। এছাড়াও এলাকায় বেআইনি বাড়ি নিমার্ণের বিরুদ্ধে ও মিড-ডে মিল রান্নার জায়গা ‘বিক্রির’ বিরুদ্ধে পুরপ্রধানের হস্তক্ষেপের দাবিও জানান তাঁরা।
আব্বাস হোসেনের অভিযোগ, “গত ৫ মাস ধরে এলাকার উন্নয়নে কোনও কাজই হচ্ছে না। এমনকী আমার ওয়ার্ডে আমাকে না জানিয়ে ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পুর-বাজারের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। আমি তৃণমূলেই কাউন্সিলার। অথচ তৃণমূলেরই পুরপ্রধান আমাকে পাত্তাই দেন না! তাই এলাকায় উন্নয়ন মূলক কাজের দাবি নিয়ে আজ পুরপ্রধানের কাছে স্মারকলিপি দিতে এসেছিলাম।”
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি বলেন, “গত ৫ মাসে অন্যান্য ওয়ার্ডের মতো ওই ওয়ার্ডেও নলকূপ বসানো হয়েছে। এছাড়াও ‘স্বর্ণজয়ন্তী সহরী রোজগার যোজনা প্রকল্প’ খাতে ৩০ হাজার টাকা এবং ত্রয়োদশ অর্থ কমিশন খাতে ১ লক্ষ টাকা ওই ওয়ার্ডে বরাদ্দ করা হয়েছে। পুরসভার প্রত্যেকটি আলোচনায় ওই কাউন্সিলরকে ডাকা হয় এবং উনি উপস্থিত থাকেন। তা হলে উনি কী করে বলছেন যে পাত্তা দেওয়া হয় না?” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “ওই কাউন্সিলর এখন যে আচরন করছেন, আগে কংগ্রেস কাউন্সিলর থাকার সময়ও একই আচরণ করেছেন। ওই কাউন্সিলরের আসল উদ্দেশ্য পুরসভার উন্নয়নমূলক কাজে বাধা সৃষ্টি করা। বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে লিখিত ভাবে জানাব।”
রামপুরহাট টাউন তৃণমূলের সভাপতি সুশান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই কাউন্সিলর যে আচরণ করেছেন তা কখনই সমর্থন করা যায় না। তিনি আগে দলকে জানাতে পারতেন।” |