পশ্চিমবঙ্গ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বা ওয়েবকুটা-র নির্বাচনে ফের জয়লাভ করলেন বামপন্থীরাই। মঙ্গলবার ওই সমিতির ‘স্টেট এগজিকিউটিভ কাউন্সিল’-এর নির্বাচন হয়েছে। দু’বছর অন্তর ওই সমিতির নির্বাচন হয়। ১৯৭৮ থেকেই এই সমিতি বরাবর বামপন্থীদের দখলে রয়েছে। রাজ্যে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলেও বেশির ভাগ শিক্ষক সংগঠনেই এখনও পর্যন্ত বাম-অনুগামীদের প্রভাব রয়েছে। কলকাতা, রবীন্দ্রভারতী, বর্ধমান, বিদ্যাসাগর-সহ যে-সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি শিক্ষক সংগঠনের নির্বাচন হয়েছে, সব জায়গাতেই জয়লাভ করেছেন বামেরা। অধ্যক্ষ পরিষদের নির্বাচনে অবশ্য তৃণমূল সমর্থক অধ্যক্ষেরাই জিতেছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সব থেকে বড় সংগঠন ওয়েবকুটা-র দখল থেকে গেল বামেদের হাতেই। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নিয়ম অনুযায়ী স্টেট এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের ২৪টি আসনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থক শিক্ষকেরা ১৮ জন করে প্রার্থীর তালিকা দেন। সব আসনেই বামেরা জিতেছেন বলে সমিতির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমিতির গঠনতন্ত্র মেনে বাকি ছ’টি আসনে অন্য শিবিরের শিক্ষকেরা রয়েছেন। তার মধ্যে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট পেয়েছে পাঁচটি আসন এবং এসইউসি-র উদ্যোগে গঠিত ‘ডিটিএএএফ-প্রোগ্রেসিভ’ একটি আসন পেয়েছে।
|
গাঁধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাদৃশ্য পেলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিধানসভায় পঞ্চায়েত নির্বাচন আইনের সংশোধনী বিল নিয়ে জবাবি বক্তৃতায় তিনি বলেন, “মহাত্মা গাঁধী সম্পর্কে পড়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখছি। তিনি অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ চালু করেছেন।” মমতা তখন সভায় উপস্থিত। পরে অন্য প্রসঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “৭০ দশক মনে পড়ছে। অসমের কংগ্রেস নেতা বলেন ‘ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া’।”
|
রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের সঙ্গে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম। |