বনধে বাস না-চালালে পারমিট বাতিল করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার বনধে দোকান বন্ধ রাখলেও একই ধরনের কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন তিনি। সোমবার মহাকরণে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গড়া টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানান টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য এবং রাজ্য ট্রেডার্স ফোরামের সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে। তবে বনধে যোগ দিলে বাসের পারমিট বাতিলের জন্য আইন করার কথা বললেও দোকানের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী তা বলেননি বলে মন্তব্য করেন রবীন্দ্রনাথবাবু।
এ দিন বৈঠকের পরে রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, রাজ্যে কৃষকদের পরেই সব চেয়ে বেশি মানুষ দোকান-বাজারের সঙ্গে যুক্ত। তাই তাঁরা যদি দোকান-বাজার বন্ধ রাখেন, বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী সেই কারণেই দোকান-বাজার বন্ধ রাখার বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব নিয়েছেন।
বনধের রাজনীতি তিনি করবেন না এবং কেউ করলে তা বরদাস্তও করবেন না বলে অনেক দিন আগেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু সেই ঘোষণার পরেও রাজ্যে দু’তিনটি বন্ধ হয়েছে। বনধে যোগ দিলে সরকারি অফিসের কর্মীদের বেতন কাটা হবে বলেও জানিয়েছিলেন মমতা। এর ফলে বনধের দিন অফিস করবেন বলে আগের রাতে অনেক সরকারি কর্মীই অফিসে থেকে যান। যদিও এ বারের বন্ধে সরকারের তরফে তেমন চোখরাঙানি বিশেষ ছিল না।
বনধে দোকান-বাজার বন্ধ রাখার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ফের বাজারে হানা দেবেন এবং কোনও কারণেই এখন আলু এবং অন্যান্য সব্জির দাম বাড়ানো যাবে না।
গত কয়েক দিনে আলু-সহ বিভিন্ন সব্জির দাম বাড়ায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দাম নিয়ন্ত্রণে তৎপর হওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এ দিনের বৈঠকেই নির্দেশ দেন টাস্ক ফোর্সকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন
সব্জিতে রং মেশানোর অভিযোগও উঠছে। এ ব্যাপারেও বৈঠকে কঠোর মনোভাবের কথা জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। রবীন্দ্রবাবু জানান, যে-সব ব্যবসায়ী সব্জিতে রং মেশাচ্ছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। |