পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। সোমবার দলের রাজ্য কমিটির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সাংসদ বরুণ মুখোপাধ্যায় কোচবিহারে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, ১১ অক্টোবর পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে রাজ্যজুড়ে সমস্ত বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। গত রবিবার বরুণবাবুর নেতৃত্বে ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল জেলার সিতাইয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাস চরম আকার নিয়েছে বলে অভিযোগ এই বাম শরিকের। দলের অভিযোগ, এক মাস আগে সিতাইয়ে স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন ঘিরে গোলমালের ব্যাপারেও পুলিশ একতরফাভাবে দলের সমর্থকদেরই গ্রেফতার করেছে। তাঁরা জেলা পুলিশ সুপারের বদলিরও দাবি তুলেছেন। |
দলের জেলা দফতরে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তনমন্ত্রী হাফিজ আলম সাইরানি, নরেণ চট্টোপাধ্যায়, উদয়ন গুহ উপস্থিত ছিলেন। সাংসদ বরুণবাবু বলেন, “তৃণমূলের ১৬ মাসের শাসনে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অন্যতম উদাহরণ কোচবিহারের সিতাই। স্কুল নির্বাচন নিয়ে গোলমালের ঘটনায় পুলিশ একতরফা ভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে। তৃণমূলের কাউকে ধরা হচ্ছে না। ফরওয়ার্ড ব্লক সমর্থকদের ওপর হামলা, অফিস ভাঙচুর নিয়ে পুলিশ উদাসীন।” তিনি জানান, এদিন কোচবিহারের পুলিশ সুপারের সঙ্গে ওই সব ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তিনি শুধু আমাদের সমর্থকদের কী ভুল রয়েছে তারই বর্ণনা দেন। এতে পুলিশের উপর আস্থা রাখা মুশকিল হয়ে পড়ছে। বিষয়টি আমরা রাজ্যপালের নজরে আনতে চাইছি। কলকাতায় ফিরেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ওই অভিযোগ জানাতে সময় চেয়ে আবেদন করা হবে। দলের আরেক নেতা হাফিজ আলম সাইরানি’র কথায়, “রাজনৈতিক গোলমালে শান্তিরক্ষায় দুই পক্ষের লোককে পুলিশ ধরতে পারে। সিতাই-এর ঘটনায় তা হয়নি। এই অবস্থায় শান্তি ফেরা কঠিন। বর্তমান পুলিশ সুপারকে এরজন্য সরাতে হবে। আমরা রাজ্যপালকে বিষয়টি বলব।” দলের অভিযোগ, গত ১৮ অগস্ট সিতাইয়ের স্কুল নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল এবং ফরওয়ার্ড ব্লক সমর্থকদের গোলমাল হয়। ১০ জন ফরওয়ার্ড ব্লক সমর্থককে ধরা হয়। কিন্তু তৃণমূলের ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও এখনও কেউ ধরা পড়েনি। জেলা পুলিশ সুপার প্রণব দাস অবশ্য অভিযোগের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |