প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জন টেরির আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণা নিয়ে নাটক চরমে উঠল। রবিবার রাতে চেলসি ও ইংল্যান্ডের স্টপার টেরি জানিয়ে দেন, আর আন্তর্জাতিক ফুটবল নয়! এ বার মাঠে নামবেন শুধু ক্লাবের জার্সি গায়ে।
টানা ন’বছর ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার পর ৩১ বছরেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানোর কারণ হিসেবে ক্ষুব্ধ টেরি জানাচ্ছেন, আদালত তাঁকে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দিয়েছে, অথচ, ইংল্যান্ডের ফুটবল সংস্থা এফ এ এখনও সেই ঘটনার শুনানি জিইয়ে রেখেছে। টেরির মনে হয়েছে, এফ এ তাঁকে আর জাতীয় দলে চাইছে না। তাই সোমবার শুনানির আগের দিনই অবসরের ঘোষণা করে টেরি বলেছেন, “এফ এ-র শুনানির আগেই আমি অবসর নিলাম। আদালত আমাকে রেহাই দিলেও এফ এ সমস্যা চালিয়ে যেতে চায়। ওরা আর আমাকে জাতীয় দলে চায় না।” |
এই জার্সিতে আর দেখা যাবে না টেরিকে। |
যে যুক্তি আবার মানতে রাজি নয় এফ এ। সচিব অ্যালেক্স হর্ন বলেছেন, “টেরির সিদ্ধান্ত হতাশাজনক। এতে ইংল্যান্ড ম্যানেজার রয় হজসনের দল গড়তে অসুবিধা হবে। ইংল্যান্ডের হয়ে টেরি ভালই খেলছিল।” হজসন আবার বলছেন, “টেরি ভদ্রতার সঙ্গে অবসর ঘোষণার আগে আমাকে ফোন করেছিল। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালই ছিল।” ইঙ্গিতে পরিষ্কার, টেরির জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা প্রায় নেই। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা ফুটবলার গ্যারি লিনেকার অবশ্য বলেছেন, “বাস্তবোচিত সিদ্ধান্তই নিয়েছে টেরি।”
গত অক্টোবরে চেলসি-কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স ম্যাচে টেরির বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যমূলক কথা বলার অভিযোগ করেছিলেন কিউপিআরের অ্যান্টন ফার্দিনান্দ। ঘটনাচক্রে যিনি টেরির দীর্ঘদিনের জাতীয় দলের সতীর্থ রিও ফার্দিনান্দের ভাই। তার আগেই ২০১২ ইউরোয় টেরিকে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছিল। সেখানে আবার দলে সুযোগ পাননি রিও। যা নিয়ে ইংল্যান্ড ফুটবহলমহলে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। |