বিদেশি কোচের দিকেই ঝুঁকতে চাইছে প্রয়াগ |
আর স্বদেশি নয়। প্রয়াগ ইউনাইটেডের সাত কোটি টাকার দলে সাফল্যের আলো ঢোকাতে স্পনসর কর্তারা বিদেশি কোচ খোঁজার কাজ শুরু করে দিলেন।
মঙ্গলবার স্পনসরদের সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে জরুরি আলোচনায় ঠিক হয়ে যাবে প্রয়াগে সঞ্জয় সেনের কোচিং-ভবিষ্যৎ। যা পরিস্থিতি, তাতে সঞ্জয়কে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়ার দিকেই এগিয়ে কর্তারা। সে ক্ষেত্রে বিদেশি কোচের দিকেই ঝুঁকে স্পনসররা।
কিন্তু প্রয়াগের নতুন বিদেশি কোচ কে হবেন? এখানেই অনেকগুলো সমস্যার সামনে কর্তারা।
এক) মরসুমের মাঝপথে বিদেশি কোচ পাওয়া বেশ কঠিন।
দুই) দেখতে হবে, কোন কোচ ফ্রি আছেন।
তিন) ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকা চাই। ইতিমধ্যে প্রয়াগের প্রধান কর্তা বাসুদেব বাগচি নতুন কোচের জন্য বায়োডাটা দেখতে শুরু করেছেন। ক্লাব কর্তাদেরও বলা হয়েছে নতুন নাম প্রস্তাব করতে। সমস্যা হল, আই লিগের আগে হাতে সময় কম আর কাজ অনেক বেশি।
এর মধ্যে আবার নতুন প্রকল্পের সূচনা করে দিলেন স্পনসররা। জামশেদপুরের টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির ধাঁচে কলকাতাতেও আবাসিক অ্যাকাডেমি খোলার পথে প্রয়াগ। আমতলার বিবিরহাটে ১০০ একর জমি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এখন ঢাকে কাঠি পড়ার অপেক্ষা।
তবে তার আগে সোমবার নিয়মরক্ষার ম্যাচে ইউনাইটেড সিকিমের বিরুদ্ধে প্রয়াগের মুখ রক্ষা করলেন সোদপুরের মহম্মদ রফিক। জোড়া গোলের পর হ্যাটট্রিকের সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি। তড়বড় করতে গিয়ে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। র্যান্টি মার্টিন্স তাঁর ‘অপয়া’ টুর্নামেন্টে গোল নষ্টের ধারাবাহিকতা আঁকড়ে ধরে রাখলেন। যেন প্রতিজ্ঞা ছিল তাঁর, ‘ফেড কাপে কিছুতেই গোল করব না।’ কোস্টা রিকার ফুটবলার কার্লোস হার্নান্ডেজ আবার ডান গোড়ালিতে চোট পেলেন। মঙ্গলবার কলকাতায় ফিরে এমআরআই হলে জানা যাবে চোট কতটা গুরুতর।
প্রয়াগের মতোই অশান্তির চোরাবালি ঢুকে পড়েছে ভাইচুং ভুটিয়ার দলেও। এখানেও সমস্যার কেন্দ্রে কোচ। কঠোর পরিশ্রম করে যে দলকে টেনেটুনে আই লিগে তুলেছেন ভাইচুং, সেই দলকে এখনও পর্যন্ত জয়ের স্বাদ চাখাতে পারেননি ফিলিপ ডি’রাইডার। সিকিমের স্থানীয় টুর্নামেন্ট থেকে শুরু করে ফেড কাপে শুধু অন্ধকার জুটেছে। একমাত্র তারাই ফেড কাপে একটাও গোল করতে পারেনি। করবেনই বা কে? শোনা যাচ্ছে, সিকিম নাকি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটার বেশি বিদেশি নথিভুক্ত করতে পারেনি। কোচ ভুলে গিয়েছেন। যে সব ফুটবলাররা ঘাম ঝড়িয়ে ভাইচুংয়ের দলকে আই লিগে তুলেছেন, তার বেশিরভাগকেই ছেঁটে ফেলেছেন রাইডার। সোমবার ম্যাচের পর ইউনাইটেড সিকিমের এক কর্তা বলছিলেন,“এই দল নিয়ে আই লিগে অবনমন বাচানোই মুস্কিল!”
ক্লাবের স্পনসর খোঁজার কাজে অসম্ভব ব্যস্ত ভাইচুং। কখনও গ্যাংটকে, কখনও পঞ্জাবে। গোটা দেশ ঘুরে বেরাচ্ছেন। আর যাঁকে দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন, সেই রাইডার খেয়াল খুশি কাজ করে পরোক্ষ ভাবে ক্লাবের ক্ষতিই করে চলেছেন। ভাইচুং অবশ্য আশ্বাসের হাত সরাচ্ছেন না কোচের মাথার ওপর থেকে। গ্যাংটক থেকে ফোনে বললেন, “রাইডারই কোচ থাকছেন আই লিগে।” আশার আলো একটাই, ফেড কাপে না খেললেও, আই লিগে শুরু থেকেই খেলবেন ভাইচুং।
অন্য দিকে, মরসুমের শুরুতেই বাংলাকে পিছনে ফেলে দিল গোয়া। ফেড কাপের শেষ চারের যুদ্ধে প্রয়াগ ইউনাইটেড এবং পৈলান অ্যারোজকে টপকে শিলিগুড়ির টিকিট পাকা করে নিল সালগাওকর ও ডেম্পো। সোমবার পুণে এফসিকে করিম বেঞ্চারিফার দল ২-১ হারাল। লুসিয়ানো ও অ্যান্টনি ডি’সুজা একটি করে গোল করলেন। পুণের একমাত্র গোলদাতা ডুহু। |