বছরে অন্তত আট-দশবার দেওঘরে যেতেন রিষড়ার মোড়পুকুরের বাসিন্দা বিষ্ণুপ্রিয়া মল্লিক। কখনও সঙ্গে থাকতেন পরিবারের কেউ, কখনও বা যেতেন একাই। মোট কথায় সৎসঙ্গ আশ্রমের কোনও অনুষ্ঠানই পারতপক্ষে বাদ দিতেন না বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী। ওঁর মতো অতটা না হলেও দেগঙ্গার উমা মজুমদারও বার কয়েকই গিয়েছেন সৎসঙ্গ আশ্রমে। এ বারও গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দেওঘরের আশ্রমেই যে এমন অপঘাত মৃত্যু তাঁদের জন্য অপেক্ষা করে আছে তা জানতেন না তাঁরা। সোমবার আশ্রমের গেটে অন্যভক্তদের পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বিষ্ণুপ্রিয়া মল্লিক ও উমা মজুমদারের।
এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার ভোরে রিষড়ারই এক মহিলার সঙ্গে দেওঘর রওনা হন ষাটোর্দ্ধ প্রৌঢ়া। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ রিষড়ার বাড়িতে দুর্ঘটনার খবরটি পৌঁছয়। বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর ছেলে দিলীপ মল্লিক বলেন, “জয় পাল নামে আমার এক বন্ধু ওখানে গিয়েছিল। সে-ই খবর দেয়। ওখানে আমাদের আত্মীয় এবং বন্ধুরাও রয়েছে। ওঁরাই দেহ নিয়ে আসছেন।” দিলীপ বলেন, “মা ছিলেন ঠাকুরঅন্ত প্রাণ। আমরা সব সময় দেওঘরে নিয়ে যেতে পারতাম না। তাই কখনও কখনও অন্য কারও সঙ্গেও চলে যেতেন। এ বার টিকিটটাও কেটে দিতে পারিনি।” |