টেবিলে টেবিল জুড়ে বিছানা পাতা হচ্ছে। রুটি-মাংসসহ রাতভর মোচ্ছবও চলছে। আর পরদিন হাজিরা খাতায় সইটুকু মেরে, ঘণ্টাখানেক তাস পিটিয়ে বা গুলতানি করে তাঁরা যে যার বাড়ির পথ ধরছেন। ততক্ষণে বন্ধওয়ালারাও ও দিকে পতাকা-টতাকা গুটিয়ে পার্টি-অফিসমুখো। সন্ধের ঝোঁকে ট্রেন-বাসও চলতে শুরু করে টুকটাক।
বন্ধ ব্যাপারটা, ওই স্বাধীনতা দিবস ইত্যাদি অবশ্য পালনীয় দিনের মতোই, একটা হাজিরা দেবার দিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কর্মসংস্কৃতি দিবস। বছরের বাদবাকি দিনগুলো অফিস আসা বা কাজকর্ম হোক বা না-হোক, ওই দিন আসতেই হবে। বন্ধ-বিরোধিতার পতাকা তুলতেই হবে সরকারি বংশদণ্ডের আগায়। ও দিকে খুলবে না দোকানপাট, চলবে না যানবাহন, নড়বে না ট্রেনের চাকা।
কী জানি, এ ভাবেই বুঝি এই পোড়া বঙ্গে প্রশাসনের ফাঁকা আশ্বাস আর সরকারি ফতোয়ার ডানায় ভর করে উড়বে কর্মসংস্কৃতির ফিনিক্স পাখি। হবেও বা। |