ছ’সপ্তাহের সময়সীমা পার হয়ে গেল সোমবার। কিন্তু কার্টুন-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অম্বিকেশ মহাপাত্র ও তাঁর প্রতিবেশী সুব্রত সেনগুপ্তকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশকে পাত্তাই দিল না রাজ্য সরকার। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই দু’জনকে কোনও অর্থই দেওয়া হয়নি।
|
অম্বিকেশ মহাপাত্র |
গত ১৩ জুলাই রাজ্য মানবাধিকার কমিশন রাজ্য সরকারের কাছে সুপারিশ করে, ছ’সপ্তাহের মধ্যে অম্বিকেশবাবু ও সুব্রতবাবুকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সোমবার পর্যন্ত রাজ্য সরকার তাঁদের কোনও টাকা দেয়নি বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনও রকম যোগাযোগও করা হয়নি বলে জানিয়েছেন অম্বিকেশবাবুরা। এ দিন দু’জনেই বলেন, “ক্ষতিপূরণের কথা আমরা রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে পারি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে সরকারের তরফে কেউ যোগাযোগ করেনি।” ওই ঘটনায় পুলিশ ১৫ জুলাই আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে বলে দাবি করেছেন পুলিশ কমিশনার রঞ্জিৎ পচনন্দা। অম্বিকেশবাবুর আইনজীবী সঞ্জীব গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য এ দিন বলেন, “আদালতের নথিতে এখনও পর্যন্ত ওই চার্জশিটের কোনও উল্লেখ নেই।” আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলে আলিপুর আদালত সূত্রের খবর।
রাজ্য মানবাধিকার কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, অম্বিকেশবাবুরা যদি রাজ্য সরকারের টাকা না দেওয়ার বিষয়টি কমিশনকে জানান, তা হলে কমিশন রাজ্য সরকারকে ওই সুপারিশের ব্যাপারটি মনে করাতে পারে। তবে এ দিন পর্যন্ত অম্বিকেশবাবুরা তাঁদের কিছুই জানাননি বলে কমিশনের বক্তব্য। এই বিষয়ে অম্বিকেশবাবু ও সুব্রতবাবু বলেন, “আমাদের ব্যাপারে মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করেছিল। সেই অনুযায়ী তারা সরকারকে সুপারিশ করেছে। আমাদের কিছুই জানায়নি। তাই আমরাও কমিশনকে কিছু জানাইনি।” রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা বলেন, “মানবাধিকার কমিশন কোনও সুপারিশ করতে পারে। সেই সুপারিশ আমরা বিবেচনা করে দেখতে পারি। কিন্তু সেই সুপারিশ মানার ব্যাপারে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার এক্তিয়ার কমিশনের নেই।” |