মুখ্যমন্ত্রীর সফরকালে ইংরেজবাজার পুরসভা ও জেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান চালিয়ে ফুটপাতে বেআইনি দোকান ভেঙে শহরকে ঝা চকচকে করে। ফুটপাত ফিরে পেয়ে মালদহ শহরবাসীও স্বস্তি পায়। কিন্তু গত ৩০ অগষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যেতে পুরনো ছবি ফিরে আসে। নতুন করে ফুটপাত দখল শুরু হয়। আগে চাটাই দিয়ে তৈরি দোকান ঘর এ বার শক্তপোক্ত করে গড়ে তোলা হয়। বসে গিয়েছে হোটেল, মদের দোকান। পুরসভা ও প্রশাসনের কর্তাদের সামনে এ ভাবে দখল চললেও দেখার কেউ নেই। তাই নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রীকে দেখানোর জন্যই কী ফুটপাত দখল মুক্ত করা হয়েছিল? রাজমহল রোড থেকে মালদহ কলেজ লাগোয়া রথবাড়ি এলাকায় চার লেনের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি সড়ক দখল করেছে গজিয়েছে ম্যাক্সিট্যাক্সি স্ট্যান্ড ও অটো রিক্সা স্ট্যান্ড। পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “জেলা প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সফরের আগে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছিল। ফের ফুটপাত দখল হয়েছে। এখন যদি জবরদখলকারীদের তুলতে যাই প্রশ্ন উঠবে পুজোর মুখে গরিবদের পেটে চেয়ারম্যান কেন লাথি মারলেন! তাই ঠিক করেছি এখন বেআইনি উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকবে। পুজোর পরে ফুটপাতে দোকান রাখতে দেব না।” চেয়ারম্যান জানান, হকারদের পুনর্বাসনের জন্য চিন্তাভাবনা শুরু করেছে পুরসভা। ওই ব্যবস্থা করে ফের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। জেলা প্রশাসনের কর্তারা ফুটপাত জবরদখলের দায় পুরসভার উপরে সপেছেন। মালদহ সদর মহকুমাশাসক পুষ্পেন্দু মিত্র বলেন, “কী করব! মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করতে পুরসভা জেলাপ্রশাসনের সাহায্য চায়। আমরা সাহায্য করি। ফের ফুটপাত বেদখল হচ্ছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব পুরসভার।” |