ড্রাকুলার কথা মনে আছে? ঠিক রাত বারোটায় কবর থেকে উঠে এসে কামড় বসাত কোনও যুবক বা যুবতীর গলায়। উদ্দেশ্য একটাই। অটুট যৌবন নিয়ে সারা জীবন রাজত্ব করে যাওয়া।
কিন্তু সে তো গল্পকথা। মানুষ যে সত্যি সত্যিই অমর হতে চায়। থাকতে চায় চির যুবক বা যুবতী।
প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বাজারে এসেছে অনেক ক্রিম বা লোশন। গলিতে গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বিউটি পার্লার। বোটক্সের রাসায়নিক বিক্রি করে যে সব সংস্থা, তারা তো বছরে কোটি কোটি ডলার কামিয়ে নিচ্ছে। সবই তো সেই মানুষের যৌবন ধরে রাখার অদম্য আকাঙ্খার কারণেই।
কিন্তু সত্যিই কি সাফল্য এসেছে?
এ প্রশ্নের সত্যিই কোনও উত্তর হয় না। কিন্তু মানুষের আকাঙ্খারও শেষ নেই। তাই নিরন্তর গবেষণা চলছেই।
সম্প্রতি ব্রিটেন আর আমেরিকার এক দল গবেষক দাবি করেছেন, কী ভাবে ধরে রাখা যায় যৌবন, সেই রহস্যের চাবিকাঠি তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন। তবে এ বার আর নতুন কোনও ক্রিম নয়। বদলে এই পদ্ধতিতে কাজে
লাগবে নিজের রক্তই।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এর জন্য প্রথমে রোগীর হাত থেকে রক্ত নিয়ে যন্ত্রে তা থেকে অণুচক্রিকা আলাদা করা হয়। এ বার সেই অণুচক্রিকা থেকে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য দায়ী এমন প্রোটিনগুলি বার করে নেওয়া হয়। গবেষকদের দাবি, বেশি পরিমাণে এই প্রোটিন শরীরের কোনও আঘাতপ্রাপ্ত অঞ্চলে প্রবেশ করালে তার প্রভাবে দ্রুত কোষ বৃদ্ধি হয়। বেড়ে যায় কোলাজেনের পরিমাণ। ফলে ক্ষতস্থানের দ্রুত নিরাময় হয়। আর এই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই প্রোটিনের সাহায্যে ত্বকের বয়স্ক কোষকে সরিয়ে নতুন কোষ ভরে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে ত্বকের পুরনো জৌলুস ফিরে আসছে বলেই দাবি করেছেন এডিনবরার প্লাস্টিক সার্জন তামির শোয়েব। পদ্ধতিটার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভ্যাম্পায়ার ফেসলিফ্ট’। পদ্ধতিটি ইংল্যান্ডে নাকি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।
এ বার অল্পবয়সী কাউকে দেখে পছন্দ হলে
প্রথমেই প্রেম নিবেদন করে বসবেন না। আগে তার জন্ম শংসাপত্রটা দেখে নেবেন কিন্তু। |