তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় ‘পুড়িয়ে দেওয়া’র ঘটনাকে ঘিরে ফের কোতুলপুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রবীর গড়াই ও প্রাক্তন ব্লক সভাপতি নিমাই ঘোষের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। শনিবার গভীর রাতে কোতুলপুরের রাধাদামোদরপুর গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়টি আগুনে পুড়ে যায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই ঘটনার জেরে রবিবার সকাল থেকে এলাকায় তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি ও মারামারির অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ লাঠি চালিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “ওই এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কোনও সংঘর্ষ বা বোমাবাজির অভিযোগ নেই।”
তৃণমূল সূত্রের খবর, রাধাদামোদরপুর গ্রামে তৃণমূলের ওই কার্যালয়টি দখল করা নিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত। |
শনিবার ওই গ্রামে কোতুলপুরের তৃণমূল ব্লক যুব সভাপতি সমীর বাগ সভা ডেকেছিলেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রবীর গড়াইও সেখানে পাল্টা সভা ডাকেন। সমীরবাবুর দাবি, “আমার সভায় লোক এলেও প্রবীরের সভায় লোক আসেনি। সেই আক্রোশে প্রবীরের লোকজন আমাদের দলের অফিসটি পুড়িয়ে দেয়।” প্রবীরবাবুর পাল্টা অভিযোগ, “ওই গ্রামে আমার সভায় নিমাই ঘোষের লোকেরা হামলা করে। কয়েকজন অল্পবিস্তর জখম হন। রাতে আমাদের দলের অফিসটিও ওরাই পুড়িয়ে দেয়। রবিবার সকালে ওরা গ্রামের বোমবাজিও করে।” তাঁর দাবি, “পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।”
কয়েক মাস আগে দলের রাজ্য নেতৃত্ব নিমাইবাবুকে সরিয়ে প্রবীরবাবুকে দলের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দেন। এরপরেই নিমাইবাবু দলবল নিয়ে তৃণমূলের ব্লক কার্যালয়ের নাম মুছে দিয়ে কংগ্রেসের কার্যালয় লিখে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা জানান। প্রবীরবাবু তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের অফিস ‘বেদখল’ করার অভিযোগ দায়ের করেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের বিবাদে সরগরম হয়ে ওঠে কোতুলপুর। এ দিন নিমাইবাবু দাবি করেন, “কোতুলপুরে তৃণমূলের স্থপতি আমিই। আমি দল ছাড়িনি। সমীর আমার অনুগামী।” তাঁর অভিযোগ, “প্রবীরের লোকেরাই আমাদের দলের অফিস পুড়িয়ে এলাকায় গোলমাল সৃষ্টি করেছে।” |