আপাতত কংগ্রেস-তৃণমূলের ‘মধুচন্দ্রিমা’ শেষ হলেও আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিচু তলায় তারা জোট বাঁধবে ধরে নিয়েই প্রস্তুত হতে হবে সিপিএমকে। পুরুলিয়ায় জুবিলি ময়দানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আইসিডিএস কর্মী সমিতির অষ্টম রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে সমাবেশের অবসরে তেমনই বলেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল চক্রবর্তী।
কংগ্রেস-তৃণমূলের জোট ভেঙে যাওয়ায় সিপিএমের সুবিধা হবে বলে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদ্যবিদায়ী সদস্য মানস ভুঁইয়া যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রেক্ষিতে এ দিন শ্যামলবাবু বলেন, “আমাদের কী সুবিধা হবে-না হবে, তা বোধহয় ওঁরাই ভাল বোঝেন! নিজেরা ঝগড়া করবে আর দায় চাপাবে আমাদের উপরে! ওরা বিদেশি পুঁজির কাছে আত্মসমর্পণ করছে আর খেয়োখেয়ি করছে। তাতে অবশ্য আমাদের অসুবিধে নেই।” একই সঙ্গে শ্যামলবাবুর বক্তব্য, “ওরা যতই ঝগড়া করুক, নিচু তলায় আগামী পঞ্চায়েত নিবার্চনে ওরা ফের জোট বাঁধবে। এ কথা মাথায় রেখেই আমরা পঞ্চায়েত নিবার্চনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।” এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁরা নতুন মুখকেই প্রার্থী-পদে গুরুত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন শ্যামলবাবু।
সমাবেশে সিপিএম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া অভিযোগ করেছেন, “খুচরো ব্যবসায় বিদেশি পুঁজির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ৪ কোটি মানুষকে সবর্নাশের পথে ঠেলে দিচ্ছেন। সবর্নাশের পথে ঠেলে দিচ্ছেন এই ব্যবসার সঙ্গে পরোক্ষে জড়িত ২০ কোটি মানুষকেও।” সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পে কর্মরত কর্মীদের ভাতা বাড়ানোর দাবি তোলেন শ্যামলবাবু। প্রসঙ্গত, সম্মেলন থেকে আইসিডিএস কর্মী সংগঠনের সম্পাদক হয়েছেন রত্না দত্তই। |