দলের ‘দুর্নীতি’র প্রতিবাদ করে সিপিএমে যোগ দিলেন অন্তত দু’শো তৃণমূল কর্মী। তার মধ্যে প্রথমে সিপিএমে ছিলেন, তৃণমূলে গিয়ে আবার পুরনো দলে ফিরে এলেন, এমন কর্মীও আছেন! ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকার জীবনতলার খুঁচিতলার ওই তৃণমূলকর্মীরা রবিবার তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে সিপিএম নেতৃত্বের দাবি। সিপিএম সূত্রের খবর, এ দিন এক ঘরোয়া বৈঠকে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার উপস্থিতিতে রকিবুল মোল্লা, জলিল শেখ, রহিম মোল্লা, সইফুদ্দিন শেখের নেতৃত্বে ওই তৃণমূল কর্মীরা বিরোধী দলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিধায়ক রেজ্জাক।
রকিবুল মোল্লা বলেন, “এক সময়ে সিপিএমে ছিলাম। কিন্তু দলের ক্ষমতা কিছু অযোগ্য লোকের হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দল বদলে তৃণমূলে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানেও দুর্নীতি। তার প্রতিবাদেই সিপিএমে ফিরেছি।” সইফুদ্দিন শেখের বক্তব্য, “প্রথম থেকেই তৃণমূলে ছিলাম। কিন্তু বর্তমানে দলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব তীব্র। দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে দলের লোকের হাতে মার খেতে হচ্ছে। তাই তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে এসেছি।” আর রেজ্জাকের বক্তব্য, “মানুষ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে দলে ফিরে আসতে চাইছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সংঘবদ্ধ ভাবে লড়তে হবে। দলে কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। প্রত্যেককে সম্মান দিতে হবে।”
যদিও এই দলবদল নিয়ে ক্যানিং-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সওকত মোল্লার পাল্টা দাবি, “এঁরা কেউ আমাদের দলে ছিলেন না। সুতরাং কোনও কর্মীর দল বদলের প্রশ্নই ওঠে না।” দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূলের সহ-সম্পাদক শক্তি মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ব্লক সভাপতি মানিক পাইক খুন হওয়ার পরে দলনেত্রীর নির্দেশে সওকত মোল্লাকে সভাপতি করা হয়। তা নিয়ে মনোমালিন্য থাকতে পারে। তবে তাতে দল বদলানোর প্রশ্ন ওঠে না।” |