|
|
|
|
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাসকর্মীর মৃত্যু |
ক্ষতিপূরণ চেয়ে বাস বন্ধ নন্দীগ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক বাসকর্মীর মৃত্যুর পরে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন চালক ও কর্মীরা। শনিবার সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল। ফলে হয়রানির শিকার নিত্যযাত্রী-সহ নন্দীগ্রামের বহু ব্যবসায়ী। কর্মীদের অভিযোগ, মৃত বাস কর্মীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে মালিকপক্ষ টালবাহনা করছে। এরই প্রতিবাদেই বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বাসমালিক সংগঠনের জানিয়েছে, ওই পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে বাস চলাচল স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে নন্দীগ্রাম-ফটক রুটের একটি বাসের ছাদে মাল তোলার সময় বাসস্ট্যান্ডের উপর দিয়ে যাওয়া উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের তারে তড়িদাহত হন ওই বাসের খালাসি বুদ্ধদেব সিংহ (২৯)। তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। এরপরেই তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত বাসকর্মী ইউনিয়নের তরফে বাস মালিকের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়। বন্ধ রাখা হয় বাস চলাচল। নন্দীগ্রাম-ফটক, হাওড়া, মেচেদা, দিঘা প্রভৃতি রুটের মিলিয়ে প্রায় ৫০টি বাস চলে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড থেকে। টানা দু’দিন বাস বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। এ পথে কলকাতা যাতায়াত করেন পোশাক তৈরির কারিগর ও ব্যবসায়ীরা। একে বাস মালিকদের ধর্মঘটে সোমবার থেকে চারদিন বাস বন্ধ ছিল, আবার শনি-রবিও বন্ধ- ফলে পূজার মুখে ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এমনকী বাস চালানোর দাবিতে রবিবার নন্দীগ্রামে বিক্ষোভও করেন তাঁরা। তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত বাস কর্মী ইউনিয়নের অবশ্য দাবি, ওই কর্মীর পরিবারকে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বিদ্যুতের তার সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহণ দফতরের কর্মাধক্ষ্য সেখ সুপিয়ান বলেন, “অচলাবস্থা কাটাতে মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যবস্থা হয়েছে।” জেলা বাস ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক মহম্মদ সামসের আরেফিন বলেন, “ওই পরিবারের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। আর্থিক সাহায্যের চেষ্টা করা হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী বিমার অর্থ পাবেন তাঁরা। কিন্তু বাস চলাচল স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন। আর বিদ্যুতের তার সরানোর জন্য বিদ্যুৎ দফতরকে আবেদন জানানো হবে।” |
|
|
|
|
|