আমি শিলিগুড়িতে নেই। তবে মোহনবাগান ফেড কাপে যাওয়ার আগে ওদের ম্যাচ দেখেছি। শিলিগুড়িতে সন্তোষ কাশ্যপের দলের বিপর্যয়ের অনেকগুলো কারণ আছে। তবে মোহনবাগান সমর্থকদের আমার আশ্বাস, সমস্যাগুলো কাটিয়ে ফেলাও সম্ভব। ব্যর্থতার কারণগুলো এ রকম:
১) রক্ষণ জমাট নয়: মাঝেমাঝেই ফাঁকফোকর তৈরি হচ্ছে। ‘অর্গানাইজ্ড ডিফেন্স’ বলতে যা বোঝায় সেটা নেই। এয়ার ইন্ডিয়া সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে।
২) ওডাফা-টোলগে জুটির কম ম্যাচ প্র্যাক্টিস: যে মহাজুটির ওপর টিমকে গোটা মরসুম নির্ভর করতে হবে গোলের জন্য, তাদের আরও বেশি ম্যাচ একসঙ্গে খেলে ফেড কাপে যাওয়া উচিত ছিল। না হলে বোঝাপড়া তৈরি হবে কী করে? বিশেষ করে ওডাফাকে প্র্যাক্টিস ম্যাচগুলোয় পুরো সময় খেলানো উচিত ছিল।
৩) ফিজিক্যাল ট্রেনার থাকা সত্ত্বেও এত চোট: মোহনবাগানে এ বার ফিজিক্যাল ট্রেনার এসেছে। চোট-আঘাতের পরিমাণ কম থাকাটাই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। পেশাদার ট্রেনারের কাছে থেকেও কেন এত ফুটবলার চোট পাচ্ছে? যে কারণে টিমের গঠনে বারবার বদল করতে হচ্ছে। ফলে খেলায় ছন্দ আসছে না।
বাকি কারণগুলো শুধু ময়দানের সব বড় দলেরই সমস্যা। যেমন, ভাল জিম না থাকা, সুইমিং পুল না থাকা। তবে আমি মোহনবাগান সমর্থকদের বলব, এই পারফরম্যান্সে ভয় পাবেন না। এই টিম এর থেকে অনেক ভাল খেলতে পারে। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা, কোচ বদলালেই ম্যাজিকের মতো সব পাল্টাবে না কিন্তু। এই কোচের আরও সুযোগ পাওয়া উচিত। সন্তোষ কাশ্যপের সঙ্গে ওডাফা-টোলগেদেরও আর একটু সময় দিন। একসঙ্গে বেশ কিছু ম্যাচ খেললে ওরা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। |