জেআরডি টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের রাস্তা ধরে মিনিট দশেক হাঁটার পরে সুবর্ণলতা নদীর ধারে মাঙ্গো বাজারে বিশাল হোর্ডিং টাঙানো। যার হিন্দি লেখাটার বাংলা মানে ‘মাঠ কাঁপাব, মন মাতাব’। নীচে প্রয়াগ ইউনাইটেডের তিন স্তম্ভ সুব্রত পাল, র্যান্টি মার্টিন্স, কার্লোস হার্নান্ডেজের কাটআউট। হাতে বল, মুখে চওড়া হাসি।
ফেড কাপে স্পনসর -কর্তারা হইহই করে শহরে যাঁদের কাটআউট লাগিয়েছিলেন, দু’ম্যাচ পরেই তাঁদের বিপর্যয় নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। আলোচনার কেন্দ্রে সেই সুব্রত, র্যান্টি, কার্লোস। পাশাপাশি প্রয়াগ -বিপর্যয়ের যে সব কারণ উঠে আসছে
দুর্বল রক্ষণ : গৌরমাঙ্গী, বেলো, দীপক মণ্ডলের মতো বড় নাম থাকা সত্ত্বেও কলকাতা লিগ ও ফেড কাপ মিলিয়ে এখনই সাত গোল হজম করেছে টিম। প্রশ্ন উঠছে ,গৌরমাঙ্গীর দায়বদ্ধতা নিয়ে। যেখানে প্রত্যাশা ছিল, নেহরু কাপ জিতে এসে নতুন ক্লাবে আরও তেড়েফুঁড়ে খেলবেন তিনি। দেশের এক নম্বর গোলকিপার সুব্রত পালের ভূমিকাও অনুবীক্ষণ যন্ত্রের নীচে ফেলা হচ্ছে। কথা উঠছে, নতুন দলে তাঁর চাপ নেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে। |
র্যান্টি -বিতর্ক : আই লিগে দু’বারের সোনার বুট -জয়ী স্ট্রাইকারের গোল চেনার ক্ষমতা নিয়ে আশঙ্কা তুঙ্গে। ডেম্পোর নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার ওকো যদি এই মাঠেই হ্যাটট্রিক করতে পারেন, তা হলে দু’কোটির র্যান্টি পারবেন না কেন? রবিবার মুম্বই এফসি -র বিরুদ্ধে ডেম্পোর ৪ -০ জয়ে ওকোর হ্যাটট্রিকে র্যান্টির পুরনো দলের শেষ চারে ওঠা বিতর্ক উস্কে দিচ্ছে।
কার্লোসের ক্ষোভ : ফেড কাপের খাটাল মাঠ, নিম্নমানের ড্রেসিংরুম নিয়ে প্রয়াগের কোস্টারিকান বিশ্বকাপার কার্লোস ক্ষুব্ধ। তারই আঁচ পড়েছে খেলায়। স্ট্রাইকার, না মিডফিল্ডারদলে তাঁর ভূমিকা কী, তা নিয়ে দ্বিধায় কোচও।
কোচ সঞ্জয় সেন বললেন, “নক আউট টুর্নামেন্টের জন্য পনেরো দিনের প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়। সে জন্যই মরসুমের গোড়ায় ফেড কাপ যে ক্লাবই জিতুক না কেন, তাকে ভারতসেরা বলা যাবে না।”
পৈলানের জয় : ফেড কাপে জয়ের মুখ দেখল পৈলান অ্যারোজ। রবিবার ২ -১ লাজং এফসি -কে হারাল। দু’টো গোল হরিচরণ নার্জারি ও প্রবীর দাসের। লাজংয়ের গোলদাতা সুকোরে। |