|
|
|
|
খড়্গপুর পুরসভা |
বোর্ড মিটিং নিয়ে বিতর্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আইনজীবীর চিঠির প্রেক্ষিতে একবার পুরসভার বোর্ড মিটিং স্থগিত রেখেছিলেন পুর-কর্তৃপক্ষ। তবে দ্বিতীয় বার সে পথে হাঁটলেন না তাঁরা। শনিবার খড়্গপুর পুরসভায় বোর্ড মিটিং ছিল। মিটিংটি স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবী। তবে তাতে সাড়া না দিয়ে যথারীতি বোর্ড মিটিং করেছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। কংগ্রেস শিবিরের ১৫ জন কাউন্সিলর ও বিজেপি’র একমাত্র কাউন্সিলর অবশ্য বৈঠকে যোগ দেননি। খড়্গপুর পুরসভার পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার (ই ও) বাসুদেব পাল বলেন, “মিটিংয়ে ১৯ জন কাউন্সিলর ছিলেন। পুরসভায় ৩৫ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে গেলে অন্তত ১৮ জন কাউন্সিলরের সমর্থন প্রয়োজন। যেহেতু ১৯ জন কাউন্সিলর ছিলেন, তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যা হয়নি।”
খড়্গপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “অবৈধ ভাবে বোর্ড মিটিং হয়েছে। তাই আমাদের কেউ মিটিংয়ে যাননি।” তাঁর কথায়, “আমাদের আইনজীবী পুর-কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। মিটিং স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষ তা-ও মিটিং করেছেন।”
শনিবারের মিটিংয়ে উপস্থিত থাকলেও নিজের দু’টি বক্তব্য জানিয়েছেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম কাউন্সিলর অনিতবরণ মণ্ডল।
১) আইনজীবীর চিঠির প্রেক্ষিতে আগে বৈঠক স্থগিত রাখা হলে এ বার কেন হল না।
২) বোর্ড মিটিং ডাকতে হলে অন্তত ৭ দিনের নোটিসে ডাকতে হয়। এ ক্ষেত্রে কেন ৩ দিনের নোটিসে ডাকা হল।
বিরোধী দলনেতা বলেন, “মিটিংয়ে আমি আমার বক্তব্য বলেছি। তা নোটও করা হয়েছে।”
গত মঙ্গলবারই খড়্গপুরে বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছিল। তবে এক আইনজীবীর চিঠির প্রেক্ষিতে মিটিংটি স্থগিত রাখা হয়। খড়্গপুর পুরসভার অনাস্থা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন কংগ্রেস কাউন্সিলরেরা। ৭ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করা হয়। এ নিয়ে শুনানি এখনও চলছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, শুনানি চলছে বলেই বোর্ড মিটিং না-করার আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী। কর্তৃপক্ষ তা উপেক্ষা করেছেন। পুর-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নিয় মেনে বোর্ড মিটিং হয়েছে। ওয়ার্ড ভিত্তিক উন্নয়নের টাকা বণ্টম, জলের পাম্প মেরামতের মতো বিষয়ে সিদ্ধান্তও হয়েছে। |
|
|
|
|
|