অসমে বসবাসকারী বাঙালিদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বাংলায় কথা বললেই ধরে নেওয়া হয় বাংলাদেশি। এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি যেমন নেতিবাচক, তেমনই বিভিন্ন অবাঙালি সংগঠনেরও। এই অভিযোগ এনে অসমে বসবাসকারী বাঙালিদের নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘পাঁচগ্রাম সম্মেলন প্রস্তাব বাস্তবায়ন কমিটি’। কমিটির নেতারা এই রাজ্যের বাঙালিদের ইতিহাস, ভৌগোলিক পরিচিতি, জনবিন্যাস, জনসংখ্যা, নাগরিকত্ব এবং রাজ্যের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার পরিচয় এতে তুলে ধরবেন বলে আজ জানিয়েছেন।
বরাক উপত্যকার তিন জেলার প্রতিনিধিস্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাঁচগ্রামে এক গণসম্মেলনে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা থেকেও নৃপেন্দ্রলাল সাহা, হাফিজ রশিদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার পর ১১টি প্রস্তাব গৃহীত হয়। কমিটির ১২ সদস্যের আহ্বায়কমণ্ডলীর পক্ষে মোজাম্মিল আলি লস্কর, হিলালউদ্দিন লস্কর, জামালউদ্দিন আহমদ, সুবীর কর ও তৈমুর রাজা চৌধুরী আজ বলেন, অসমে সে মনস্তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, এর বীজ পুঁতে গিয়েছিল ব্রিটিশরা। একদিকে বাঙালি জাতিগোষ্ঠীকে হিন্দু ও মুসলমান হিসেবে চিহ্নিত করে যায়, অন্য দিকে অসমে অন-অসমিয়াদের সার্বিক অগ্রাধিকারকে অগ্রাহ্য করতে সিলেটকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এতে লক্ষ লক্ষ অসমবাসী ভূমিপুত্র বাঙালি বিদেশিতে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পরও এ রাজ্যে বাঙালিদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে বাংলা ভাষা ও বাঙালিজাতি নির্মূলীকরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে এঁদের অভিযোগ। |