গল্প যখন সত্যি হয় তখন বোধ হয় এমনই হয়! যেমনটা হল আহমেদের ক্ষেত্রে।
উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থ নগর জেলার বাসিন্দা আহমেদ (নাম পরিবর্তিত)। কতকটা ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এর ধাঁচে সে সুযোগ পেয়ে গিয়েছে ছত্তীসগঢ়ের একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে। কী রকম?
এ বছরের ৩ জুলাই এমবিবিএস পড়ার সর্বভারতীয় পরীক্ষা অল ইন্ডিয়া প্রি মেডিক্যাল/ডেন্টাল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করে আহমেদ। জগদালপুরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয় সে। কিন্তু ১৫ জুলাই অন্য একটি মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলায় এখনও বিচারাধীন আহমেদ। এমবিবিএস-এ তার ভর্তির দিন ছিল ২৭ অগস্ট। রোহতকের আদালতের নির্দেশ ছিল তাকে ওই দিন সকাল সাতটার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কলেজে হাজির করার। কিন্তু পুলিশের গাফিলতিতে দেরি হয়ে যায় পৌঁছতে।
তাকে নিয়ে পুলিশ কলেজে পৌঁছয় বিকেল পাঁচটার পর।
এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হয় আহমেদ। এই গোটা বিষয়টাই জানায় সে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রায় দেয়, আহমেদের আবেদন মেনে নিতে আপত্তি নেই কেন্দ্র বা রাজ্যের তরফে। জগদালপুরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে একটি আসন খালিও রয়েছে। সুতরাং আহমেদের ভর্তি হওয়ার আবেদন মেনে নিতে কোনও সমস্যা নেই।
আদালতের নির্দেশে ২৭ সেপ্টেম্বর জগদালপুরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে যাবে আহমেদ। আগের বারের দেরির পুনরাবৃত্তি যাতে এ বারে না হয়, তা নিশ্চিত করতে পুলিশকেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গল্প যখন সত্যি হয় তখন বোধ হয় এমনই হয়! পর্দার ‘মুন্নাভাই’-এর সঙ্গে মিলে যায় বাস্তবের আহমেদের গল্প! |