ঘিঞ্জি গলিতে বস্তি আর দাহ্যে ঠাসা কারখানার সহাবস্থান। সেখানেই প্লাস্টিকের গুদামে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়াল গোটা এলাকায়। রবিবার বিকেলে কাশীপুরের লকগেট বস্তি লাগোয়া ওই গুদামের আগুন নেভাতে রীতিমতো হিমশিম খায় দমকল। রাত ন’টা নাগাদ দমকলের ২৫টি ইঞ্জিনের সাহায্যে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। তবে কেউ হতাহত হননি।
তখন বিকেল সওয়া পাঁচটা। উত্তর কলকাতায় বিকেলের অঝোর বৃষ্টি সবে একটু ধরেছে। লকগেট রোডের গলিটা একেবারে জল থইথই। এর মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দা রামবিলাস, কিষেণলালেরা। রামবিলাসের কথায়, “রঙের কারখানার তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধে গলিতে টেকা যাচ্ছিল না। বস্তির কয়েকটা ঘরও আগুনে পুড়েছে।” তাঁদের অভিযোগ, দমকলের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে এক ঘণ্টারও বেশি লেগেছে। |
আগুনের গ্রাসে কাশীপুর লকগেট এলাকার সেই গুদাম। রবিবার সন্ধ্যায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক |
স্থানীয় কাউন্সিলর সুমন সিংহও দমকলের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন। তাঁর কথায়, “কপাল ভাল, বস্তিতে আগুন ছড়ায়নি। আমরা বারবার দমকলকে ফোন করেছি। লাভ হয়নি।” তিনি বলেন, “প্রথমে দমকলের দু’টো ছোট গাড়ি এসেছিল। তাদের জল ফুরিয়ে গেলে ঘণ্টা দেড়েক দমকলের নামগন্ধ ছিল না। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পরে দমকল পুরোদমে কাজ শুরু করে।”
দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান অবশ্য তাঁর দফতরের ‘গাফিলতি’ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “শহরে বৃষ্টি, যানজটের জেরে একটু দেরি হয়েছে।” তাঁর দাবি, স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকলের তৎপরতার জন্যই বস্তিতে আগুন ছড়ায়নি।
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, লকগেট রোডের সরু গলিতে পাশাপাশি বস্তি, প্লাস্টিকের গুদাম, তেলের কারখানা, রঙের কারখানা। জনবসতি এলাকায় প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কী ভাবে চলছিল দাহ্য পদার্থ নিয়ে কারবার? দমকল বা পুর-কর্তৃপক্ষ কারও কাছেই সদুত্তর মেলেনি। |