সদস্যপদ খারিজ হওয়ার বিষয়টি বিচারাধীন জানিয়ে তাতে স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা। এই নির্দেশ জারিকে কেন্দ্র করে মাড়গ্রাম থানার হাঁসন ২ পঞ্চায়েতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। দু’বছর ধরে পঞ্চায়েতের বকেয়া কর না মেটানোর জন্য সম্প্রতি দুই সিপিএম সদস্য বিনয় মাল ও প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মালতি সরকারের সদস্যপদ খারিজ করেন মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায়। এর পরেই তাঁরা জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন। জেলাশাসক বলেন, “সদস্যপদ খারিজের বিষয়টি বিচারাধীন। তাই তাতে স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” এ দিকে, আজ সোমবার নতুন করে প্রধান নির্বাচন হবে। ওই দুই সদস্যের দাবি, “জেলাশাসকের নির্দেশ মতো আমাদের সদস্যপদ এখনও আছে। অথচ বিডিও প্রধান নির্বাচনে যোগদানের ক্ষেত্রে নোটিস জারি করেননি।” বিডিও সোমা সাউ অবশ্য বলেন, “জেলাশাসকের নির্দেশ তো বলেই দিচ্ছে নির্বাচনে তাঁদের যোগদানের অধিকার আছে। তবুও তাঁরা যখন চেয়েছেন তাই নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এ দিকে, পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশের দাবি, সাতদিন সময় দিয়ে প্রশাসনের চিঠি করা উচিত। এ ক্ষেত্রে ওই দুই সদস্যকে নিয়ম ভেঙে চিঠি করা হয়েছে। তাই প্রধান নির্বাচনে কে কে ভোট দিতে পারবেন তা নিয়ে ওই সব সদস্যরা প্রশ্ন তুলেছেন। বিডিও বলেন, “আমি শুক্রবার জেলাশাসকের নির্দেশ পেয়েছি।”
২০০৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে ৯ সদস্যের এই পঞ্চায়েতে দলগত অবস্থানসিপিএম ৪, কংগ্রেস ২, নির্দল ২, ফব ১। ফবকে সঙ্গী করে প্রধান হন মালতি সরকার। দু’বছর পরে দুই নির্দল ও এক ফব সদস্যকে সঙ্গী করে প্রধান হন কংগ্রেসের আব্দুর রাফে। সম্প্রতি অনাস্থা এনে জয়ী হন সিপিএমের ৪ ও কংগ্রেসের ১ সদস্য। এর পরেই আব্দুর রাফে ওই দুই সিপিএম সদস্যের বিরুদ্ধে কর বাকির অভিযোগ আনেন। |