তৃণমূল কর্মী খুনের পরে ক্লোজ করা হয়েছিল মাধবডিহি থানার ওসি স্নেহময় চক্রবর্তীকে। সেই পদে আনা হল ভাতার থানার ওসি সঞ্জয় কুণ্ডুকে। মন্তেশ্বর থেকে ভাতার থানার ওসির পদে আনা হয়েছে আকাশ মুন্সিকে। কেতুগ্রাম থানা থেকে বক্তিয়ার হোসেনকে মন্তেশ্বরের ওসি হিসেবে পাঠানো হয়েছে। রবিবার এই খবর জানিয়েছে জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা। |
শুক্রবার রাতে মাধবডিহির কাঁইতিতে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে নিহত হন এক তৃণমূল কর্মী। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় মোট ১৭জন আহত হন। খবর পেয়ে শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় নিহতের গ্রামে যান। তাঁর কাছে দলের কর্মী ও নিহতের আত্মীয়স্বজনেরা অভিযোগ করেন, মাধবডিহি থানায় ঘটনার খবর দিলেও তিনি দু’ঘণ্টার মধ্যে আসেননি। এই অভিযোগ তাঁরা জানান আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ, ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) বাসব তালুকদার ও পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জার সামনেই। পরে পুলিশ সুপার জানান, ওসি স্নেহময়বাবুকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। |
কাঁইতির ঘটনায় ধৃত ২৭ জনকে রবিবার বর্ধমানের সিজেএম আদালতে তোলা হয়। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে তিন দিন পুলিশ হেফাজত ও বাকিদের ৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দশে দেওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার জেলার গ্রামীণ এলাকায় প্রতিটি ব্লকে প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূল। বর্ধমানের বিজয়তোরণে এই সভায় ঘটনার নিন্দা করেন তৃণমূলের নেতারা।
এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) অম্লানকুসুম ঘোষ রবিবার বলেন, “ওই এলাকার পরিস্থিতি আয়ত্তে রয়েছে। নতুন করে গোলমালের খবর নেই। তবে পুলিশ পিকেট রয়েছে। ধৃতদের জেরা করে ঘটনায় জড়িত আরও কয়েক জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করব। হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রও উদ্বার করা হবে।”
|