শহরের দু’প্রান্তে দু’টি বাসস্ট্যান্ড চালু হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনকোনিয়া স্ট্যান্ড ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বাস মালিকদের। তার পরে সমস্ত দূরপাল্লার বাসকেই আলিশা মৌজায় ‘পূর্বাশা’ ও নবাবহাটে ‘উত্তরা’ স্ট্যান্ডে যাত্রা শুরু ও শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডিএ) চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়।
রবিরঞ্জনবাবু বলেন, “আমরা ঠিক করেছিলাম, রবিবার থেকেই সব বাসকে ওই দু’টি স্ট্যান্ড ব্যবহার করতে বলা হবে। কিন্তু বাসমালিক সমিতি জানিয়েছে, তাদের এখনও এই দুই স্ট্যান্ড ব্যবহারের ব্যাপারে সমস্যা রয়েছে। তাই কিছুটা সময় দেওয়া হল।” তিনি আরও বলেন, “আমরা বলেছি, আপাতত এক মাস ওই দু’টি স্ট্যান্ড ব্যবহার করতে বলা হবে বাস মালিকদের। তার পরে কোনও সমস্যা দেখা দিলে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। কাউকে সমস্যায় ফেলা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই, মানুষের সুবিধা হোক। শহর যানজট থেকে মুক্তি পাক। তাই কোনও সমস্যা হলে তা সমাধানের ব্যবস্থাও করা হবে।” |
মন্ত্রী তথা বিডিএ-র চেয়ারম্যান আরও জানান, শহরের দু’প্রান্তের দু’টি স্ট্যান্ডে কোন-কোন রুটের বাস থাকবে, তারা কোন পথ দিয়ে যাতায়াত করবে, তা মানুষকে লিফলেট দিয়ে জানানো হবে। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর বাসমালিক সমিতির প্রতিনিধি, হকার, প্রশাসনের আধিকারিক ও বাসিন্দাদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা ডাকা হবে। তিনকোনিয়া স্ট্যান্ডে যে ব্যবসায়ীরা দোকান করছেন, যাঁরা সেখানে নানা পেশায় যুক্ত, তাঁদের বিশেষ পুনর্বাসনের কথাও ভাববে বিডিএ, জানান রবিরঞ্জনবাবু। তাঁর বক্তব্য, “উন্নয়নের ব্যাপারে কোনও বাধা মানা হবে না। তবে যাঁরা এ জন্য সমস্যায় পড়েছেন, তাঁদের কথাও মাথায় রাখা হবে।”
বিডিএ-র প্রাক্তন দুই সদস্য, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উদয় সরকার ও বর্ধমানের পুরপ্রধান আইনুল হক। শনিবার ‘পূর্বাশা’র উদ্বোধনের দিন নাম না করে রবিরঞ্জনবাবু বলেন, “ওঁরা এখানে এসে নিজেদের মতামত জানাতে পারতেন। ওঁদের তো আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।” উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “উন্নয়নের সময়ে অনেকের সমস্যা হয়। তবে তাঁরা শতকরা ২০ ভাগ। বাকি ৮০ ভাগ মানুষের সুবিধাই হয়। এই ২০ ভাগের সমস্যা কী করে দূর করা যায়, সে কথাও অবশ্য ভাবা হবে।” |