তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ২৫ জন। শনিবার বিকেলে মাথাভাঙার চেনাকাটা ও কুর্শামারিতে দুই দফায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক জন মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।”
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মাথাভাঙার ময়নাতলি হাইস্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর চাপানউতোর চরম আকার নেয়। মাথাভাঙার বাসিন্দা বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন ও কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ঘণিষ্ঠ বলে পরিচিত দুই গোষ্ঠীর তরফে প্রার্থীরা পৃথক ভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। শনিবার বনমন্ত্রীর অনুগামীরা চেনাকাটা এলাকায় বাইক র্যালি বার করেন। ওই র্যালির উপরে জেলা সভাপতির ঘণিষ্ঠ বলে পরিচিত লোকজন হামলা চালান বলে অভিযোগ। পরে কুর্শামারিতেও ফের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। বনমন্ত্রী শিবিরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূলের মাথাভাঙা ব্লক সভাপতি মজিবুল হক বলেন, “আমাদের র্যালিতে নজরুল হকের নেতৃত্বে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তাতে অন্তত ২০ জন জখম হন।” অন্য দিকে, জেলা সভাপতির ঘণিষ্ঠ বলে পরিচিত মাথাভাঙার তৃণমূল নেতা নজরুল হক অবশ্য বলেন, “আমি ওই ঘটনা জানি না। এলাকাতে ছিলাম না। তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন।” এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। তিনি বলেন, “র্যালি বানচাল করতে সিপিএম মদতপুষ্ট কিছু লোক হামলা চালায়। এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপার নয়। তবে দলীয় ভাবে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে সব জানাব।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষও দাবি করেছেন, “আমার গোষ্ঠী বলে কিছু নেই। তা ছাড়া ওরকম কোনও ঘটনার কথাও জানি না।” |