করাচি নিউ ইয়র্ক লন্ডন ওয়াশিংটন ডি সি প্যারিস |
লাভ দ্য প্রফেট ডে! এই নাম সে দিন শোনা গেল পাকিস্তান জুড়ে, এবং সে দিন দেশ জুড়ে চলল হিংসার তাণ্ডব। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি করাচিতে। ফিল্মবিরোধী বিক্ষোভে সেখানে পুলিশ অফিসাররা নিহত হয়েছেন। অন্যান্য দেশেও চলছে মার্কিনবিরোধী অশান্তি। এরই মধ্যে ফ্রান্স থেকে হিংসা বন্ধের সনির্বন্ধ অনুরোধ জানালেন মহম্মদ মুসাওয়ি, তিনি প্যারিসের মুসলিম কাউন্সিল-এর শীর্ষ নেতা। সংযম-দীপ্ত নেতা বললেন, যা ঘটেছে, তার প্রতিবাদ নিশ্চয়ই দরকার, কিন্তু “এই পথে চলে কোনও লাভ হবে না।”
• অ্যান্ড্রু মিচেল বিখ্যাত ব্রিটিশ নেতা, কনজারভেটিভ পার্টির চিফ হুইপ। পুলিশ তাঁকে ভুল গেট দিয়ে না ঢুকে ঠিক গেট দিয়ে ঢুকতে বলায় প্রবল গালমন্দ করেছেন পুলিশ অফিসারদের। ক্ষমতার ‘অপব্যবহারে’র প্রতিক্রিয়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে তাঁর পদত্যাগের দাবি!
• অভিবাসনের ক্ষেত্রটিই আমার সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার জায়গা: বললেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। নির্বাচনের দোরগোড়ায় তাঁর এই আত্মোপলব্ধি। তবে এও বলেছেন, রিপাবলিকানরাই তাঁকে এই কাজ করতে দেয়নি!
• আবার সলমন রুশদি। আবার ইসলাম। সুতরাং আবার বিতর্ক। রুশদি বলেছেন, ইসলামের কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। না হলে এই পরিবর্তনের অর্থ কী? আগে তো বিশ্বের অনেক ইসলামিক শহরই ছিল সত্য অর্থে কসমোপলিটান। আর এখন?
|
• মনিকা লিউইনস্কি মুখ খুলছেন। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের এই প্রণয়িনী তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কখনও বিশদ বলেননি। এ বার বলবেন। ক্লিন্টনের তীব্র ‘থ্রিসাম’-আসক্তি, হিলারির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের শীতলতা নিয়ে দুঃখ, সব জানাবেন মনিকা। বই লিখছেন। পারিশ্রমিক, এক কোটি কুড়ি লক্ষ ডলার। বহুমূল্য প্রেম, নিঃসন্দেহে। |
|
বিজ্ঞাপনে লেখা: দুর্বল মিনমিনে আমেরিকা নয়, শক্তিমান আমেরিকাকেই পৃথিবীর প্রয়োজন। বিজ্ঞাপনের বিষয়: বারাক ওবামার বিরুদ্ধে, প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনির পক্ষে প্রচার। বিজ্ঞাপনে যাঁরা আছেন: সব নজর-কাড়া ব্যক্তিত্ব। আশ্চর্য ব্যাপার, আছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুও! আশ্চর্য এই জন্য যে একটি রাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্টের পুনর্নির্বাচনে অন্য কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের পক্ষে তাঁর বিরোধিতা করাটা ঠিক ভদ্রোজনোচিত নয়! সুবুদ্ধির কাজও নয়! কী হবে যদি ওবামাই জিতে যান? নেতানিয়াহুর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক হবে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট-এর? এমনিতেই তো কিছু দিন আগে ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে ওবামার দেখা পর্যন্ত পাননি ইজরায়েল-অধিপতি!
|
যিশু খ্রিস্ট কি বিবাহিত ছিলেন? হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ক্যারেন কিং সম্প্রতি যে বোমাটি ফাটিয়েছেন, তাতে এই বিতর্ক ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। কিং জানিয়েছেন, তিনি একটি প্যাপিরাসের টুকরো খুঁজে পেয়েছেন সেখানে লেখা আছে, ‘যিশু তাঁদের বললেন, আমার স্ত্রী...’। কিং সাংবাদিক সম্মেলনটি করলেন রোমে, কার্যত ভ্যাটিক্যান সিটির দোরগোড়ায়। মেরি ম্যাগডালেন মোটেই যিশুর স্ত্রী নন, যিশু অবিবাহিত খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের এই বিশ্বাস দীর্ঘ দিনের। কিং যদিও বলছেন, এই বিশ্বাসের বিশেষ তথ্যগত ভিত্তি নেই। যিশু বিবাহিত কি না, সেটা মূল প্রশ্ন নয়, আসল কথাটি অন্য ধর্মের মধ্যে যৌনতার উপস্থিতি নিয়ে এখনও কী পরিমাণ অস্বস্তি রয়ে গিয়েছে।
|
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রাজা পরভেজ আশরফ (ছবি) জানালেন, সুইজারল্যান্ডের প্রশাসন চাইলে ফের আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করতে পারে, পাকিস্তান সরকারের আপত্তি নেই। ২০০৭ সালে জেনারেল পরভেজ মুশারফের সরকার এই তদন্ত বন্ধ করিয়েছিল। জারদারি এবং তাঁর স্ত্রী বেনজির ভুট্টোর সঙ্গে মুশারফের গোপন চুক্তি হয়েছিল এই মর্মে। এত দিন পরে আপত্তি প্রত্যাহার করল কেন পাকিস্তান? দেশে নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তিতিবিরক্ত দেশবাসী। দলের সর্বোচ্চ নেতা জারদারির বিরুদ্ধে তদন্তের দরজা খুলে দিয়ে কি পাকিস্তান পিপল্স পার্টি ভাবমূর্তি ঠিক করতে চাইছে? নাকি বিরোধী নওয়াজ শরিফকে মামলার জালে জড়িয়ে ফেলার জন্যই এই পদক্ষেপ?
|
নিউ ইয়র্ক সাবওয়ে-তে নতুন বিজ্ঞাপন আসছে। বক্তব্য: জিহাদ থেকে দূরে থাকুন! কোন কোন স্টেশনে বিজ্ঞাপন লাগবে, খতিয়ে ভাবছেন কর্তারা। কিন্তু প্রশ্ন হল: এমনিতেই নিউ ইয়র্কে অশান্তির শেষ নেই। নাইন-ইলেভন-এর শহরে সাম্প্রদায়িক অসদ্ভাবও রীতিমত স্পষ্ট। তার মধ্যে এমন স্পষ্ট ‘রাজনৈতিক’ বিজ্ঞাপন পরিস্থিতি আরও গুরুতর করে দেবে না তো?
|
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এখনও মাস-দেড়েক দেরি। কিন্তু এর মধ্যেই ওবামা বনাম রমনির ভোট-যুদ্ধ ইতিহাসে মহার্ঘতম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২৬ এপ্রিল থেকে ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডেমোক্র্যাটরা মোট ৩১৫,৫৫৬টি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। রিপাবলিকানরা সামান্য পিছিয়ে: ৩০২,৫৮০। তা ছাড়া, এর আগে নাকি কোনও নির্বাচনে এত নেতিবাচক বিজ্ঞাপন তৈরি হয়নি। যত ডলার জমা পড়ছে পার্টির তহবিলে, ততই মিথ্যে-অর্ধসত্য বিজ্ঞাপনের হিড়িক বাড়ছে। হুঁ হুঁ বাবা, ভারতের প্রভাব কি শুধু তন্দুরি চিকেনেই আটকে থাকবে? প্রতিপক্ষকে যা নয় তাই না বললে আবার নির্বাচনের প্রচার কি? চাট্টি টক-ঝাল-মিষ্টি, তবে না! |