বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠনগুলি নিয়ে সে দেশের নেতৃত্বের সঙ্গে বিশদে আলোচনা করলেন রাহুল গাঁধী। গত ১৮ তারিখ ভারত সফরে এসেছেন আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক তথা হাসিনা সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা সৈয়দ আসরাফুল ইসলাম। তিনি সে দেশের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীও বটে। আসরাফুলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি (এনজিও)-র ব্যাপারে কৌতূহল প্রকাশ করেছেন রাহুল। ওই সংগঠনগুলি সরকারের কাজে বাধা দেয় কি না তা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি সেগুলির আড়ালে মৌলবাদী শক্তি মাথা চাড়া দিচ্ছে কি না, তা-ও জানতে চেয়েছেন রাহুল। দিল্লি ছাড়ার আগে আসরাফুল বলেন, “রাহুল গাঁধীর সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সামাজিক পরিস্থিতি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির কর্মসূচি নিয়ে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।” একই সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হাসিনা-সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, “এটা ঠিকই, কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ধর্মীয় মৌলবাদী হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু ওই সংগঠনগুলির বেশির ভাগই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” ভারতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আন্দোলনে বার বার বিপাকে পড়েছে কেন্দ্র।
আসরাফুল এ দিন সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননের সঙ্গেও। তিস্তা চুক্তি এবং সীমান্ত চুক্তি যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয়, সে জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। তিস্তা চুক্তি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মতবিরোধ চলছে কেন্দ্রের। কেন্দ্র যে ভাবে জলবণ্টন চুক্তি করতে চাইছে, তাতে আপত্তি রয়েছে মমতার। গত কালই কেন্দ্রীয় সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে তৃণমূল। আজ এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আসরাফুল বলেন, “এখন আবহাওয়া ভাল হয়েছে। গ্রীষ্ম কেটে গিয়ে শরৎ এসেছে! আশা করি, তিস্তা চুক্তি দ্রুত হয়ে যাবে।” |