জেলায় প্রথম সদ্যোজাত শিশুদের বিশেষ চিকিৎসার জন্য এসএনসিইউ বিভাগ চালু হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে। শুক্রবার এই সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট-এর উদ্বোধন করেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রও। এছাড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা, জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি, জেলা পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কালীদাস দত্ত, জেলা হাপাতালের সুপার প্রকাশ বাড়ুই, জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্য রফিকুল হাসান, তমলুকের পুরপ্রধান দেবিকা মাইতি, উপ-পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়নণ রায় প্রমুখও অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ শয্যার এই এসএনসিইউ বিভাগ তৈরি করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। |
অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের জেলা এগিয়ে থাকেলও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। নতুন জেলা হিসেবে জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সালের আগে জেলার সরকারি হাসপাতালে স্ক্যান করার যন্ত্র ছিল না। আমরাই উদ্যোগ করে চালু করেছি। হাসপাতালে ডায়ালিসিস, থ্যালাসেমিয়া ইউনিট চালু করার জন্যও উদ্যোগ করা হয়েছে।” এছাড়া জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামো ব্যবহার করে নার্সিং স্কুলও চালু করা হবে বলে জানান তিনি। সাংসদ জানান, জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিভিন্ন হাসপাতালের উন্নয়নে পরিকল্পনা করেছেন। নন্দীগ্রামে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির জন্য স্পেশাল বিআরজিএফ স্কিমে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া পাঁশকুড়ায় ১০০ শয্যার হাসপাতাল গড়ার পরিকল্পনা হয়েছে। কাঁথি ও এগরা মহকুমা হাসপাতালের উন্নয়নেও পরিকল্পনা হয়েছে।
হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের তরফে একটি ট্রমা সেন্টার গড়ার উদ্যোগ করা হয়েছে। তমলুক স্টেডিয়ামের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার সম্প্রতি আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বলে জানান তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর বরদাস্ত করা হবে না। অভিযুক্ত যত বড় নেতা বা জনপ্রতিনিধির ঘনিষ্ঠ হোন না কেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চিকিৎসকেরা বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু জনগণের সম্পদ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।”
মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য পরিষেবার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। বাম আমলে কেন্দ্র সরকার স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা দিলেও পরিষেবার উন্নতিই হয়নি। কারণ কর্মসংস্কৃতি ছিল না। রোগীদের পরিচর্যা ক্ষেত্রেও ঘাটতি ছিল।” |