চিকিৎসা করাতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের বসে থাকতে হয়। এ ছাড়া, নেই পানীয় জল বা আলো-পাখার ব্যবস্থা। এমনই নানা অভিযোগে শুক্রবার ময়ূরেশ্বর থানার নন্দীহাট উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মীদের দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে নন্দীহাট গ্রামে একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু হয়। বছর খানেক পরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিজস্ব ভবন তৈরি হলেও আজ পর্যন্ত সেখানে কোনও আলোর ব্যবস্থা হয়নি। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও। এমন কী গত চার মাস ধরে কোনও ওষুধ মিলছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। অথচ এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে দিনে গড়ে ১৫-২০ জন রোগী আসেন। মাসে দু’দিন টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য ৪০-৫০ জন প্রসূতি হাজির হন। বিক্ষোভকারী তথা ঢেকা পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূলের রামচরণ দত্তের অভিযোগ, “এ ব্যাপারে আমরা বহুবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এ দিন তাই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বেলা ১১টা থেকে ওই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের একমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী মিতা কোঁড়াকে আটক করে বিক্ষোভ দেখান।” দুপুর ২টো নাগাদ ঢেকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার শুভব্রত মজুমদারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে মিতাদেবী বলেন, “পানীয় জল, আলো, পাখার বিষয়ে আমরা প্রতিমাসে পঞ্চায়েতে প্রস্তাব পাঠাই। কিন্তু কোনও সাড়া মেলে না।” তাঁর দাবি, “জ্বরের মতো সামান্য কিছু রোগের জন্য ওষুধ পাওয়া যায়। তা দিয়ে গ্রামবাসীদের চাহিদা মেটে না। পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।” শুভব্রতবাবু বলেন, “এমনিতে ওষুধের যোগান কম। তাই চাহিদা মাফিক সব উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ওষুধ সরবরাহ করা যায় না। সমস্যার কথা জেলা স্বাস্থ্যদফতরে জানানো হয়েছে। পানীয় জল, আলো ও পাখার বিষয়টি বিডিওকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।” এ ব্যাপারে ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের বিডিও বাবুলাল মাহাতো বলেন, “উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য নলকূপ বরাদ্দ হয়েছিল। কেন বসানো হয়নি তা খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিদ্যুতেরও ব্যবস্থা করা হবে।” |