পাঁচটি দরজার তালা কেটে, ব্যাঙ্কের দোতলার ঘরের দেওয়াল থেকে সিন্দুক ভেঙে টাকা লুঠ করে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পাতকাটা এলাকায় উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখায় ঘটনাটি ঘটেছে। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, সিন্দুকে থাকা প্রায় ১ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ব্যাঙ্কের নিজস্ব নৈশপ্রহরী না থাকলেও প্রতি রাতে দু’জন করে পুলিশ কনস্টেবলকে পাহারায় রাখা হয়। সপ্তাহখানেক পুলিশ পাঠানো বন্ধ ছিল বলে ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা যাবে।” পাতকাটার ওই বাড়িতে ভাড়ায় গত ১৫ বছর ধরে ব্যাঙ্কের শাখা ভাড়া চলছে। দোতলায় ব্যাঙ্ক এবং একতলায় বাড়ির মালিক থাকেন। একদিকে বাড়ির মালিকের ঘরে ঢোকার দরজা। অন্য পাশে গেট দোতলার ব্যাঙ্কে যাওয়ার সিঁড়ি রয়েছে। প্রতি রাতে দু’জন করে পুলিশ কনস্টেবল এসে সিঁড়িঘরেই থাকেন বলে জানা গিয়েছে। ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক ম্যানেজার শ্যামল ভট্টাচার্য বলেন, “কিছুদিন ধরে পুলিশ পাহারা ছিল না। এদিন ব্যাঙ্কের গেটের তালা ভাঙা দেখে বাড়ির মালিক টেলিফোন করে জানালে ঘটনাটি টের পাই। নগদ টাকা ছাড়া ব্যাঙ্কের নথিপত্র কিছু চুরি যায়নি।” পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে দুষ্কৃতীরা গেটের তালা করাত দিয়ে কেটে গেট খুলে ভেতরে ঢোকে। কাঠের দরজার তালাও একই ভাবে কাটা হয়। দরজা খুলে সিন্দুকের ঘরে ঢোকে। শুক্রবার ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখা যায়, দেওয়ালের সিমেন্টের চাঙর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, ৩-৪ জন ছাড়া ওই লুঠ সম্ভব নয়। অন্তত ঘণ্টাখানেক সময় লেগেছে বলে পুলিশের অনুমান। বাড়ির মালিক মুদি দোকানদার যুবক জয়ন্ত দাস বলেন, “২ টো নাগাদ একটি শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। আমি ও আমার স্ত্রী শব্দ পাই। সে কারণে রাত ৩টে পর্যন্ত জেগেও ছিলাম। কিন্তু আর শব্দ না শুনে ঘুমিয়ে পড়ি। পুলিশে ফোন করার কথা মনে হলেও করা হয়ে ওঠেনি।” সদরের ডিএসপি প্রভাত চক্রবর্তী জানান, সিআইডির একটি দলকে তদন্তে ডাকা হয়েছে। ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ বিভাগে খবর দেওয়া হয়েছে। |