ভাগ্যাহতা এবং তিতিবিরক্ত পারুল হতাশায় ডুবে যান। ঠিক এমনই এক মুহুর্তে পারুল দেখা পান রবীন্দ্রনাথের। পারুলের বাবা শরৎচন্দ্র লাহিড়ি তাঁকে নিয়ে যান বিশ্বকবির কাছে। তার পর থেকে রবি ঠাকুরের সঙ্গে পারুলের সংযোগ ঘটেছে চিঠিপত্রের মাধ্যমে। বাস্তবে এই সময়ে পারুলের হতাশা দূর হয়, নতুন করে বাঁচার ইচ্ছে জেগে ওঠে। কবি সাত বছরে মোট সাতান্নটি পত্র লেখেন পারুল দেবীকে। যেখানে আমরা এক অন্য রবীন্দ্রনাথকে খুঁজে পাই। দাদু, শুধুই পারুলের দাদু।
নাটকে উনবিংশ শতকের নারী লাঞ্ছনাকে ব্যবহার করার মতো সুস্বাদু মশলা ছিল সুরঞ্জনার হাতে। কিন্তু তিনি সে পথে যাননি। উল্টে শুধুমাত্র চিঠিগুলিতে মূর্ত আবেগ আদানপ্রদানকে ব্যবহার করেছেন। যার স্বার্থক অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে কখনও নিরাভরণ মঞ্চের ডান দিকের চারটি খুঁটি। কখনও পারুলের সঞ্চয় একটি প্যাঁটরা। হাল্কা আলোয় উজ্জ্বল সে প্যাঁটরা। সেখানেই রবি ঠাকুরের চিঠিগুলি সুরক্ষিত। যা প্রতীকীও। ঘুরে ফিরে এসেছে রবীন্দ্রসঙ্গীত। কখনও নৃত্য। পারুল ক্রমশ পরিপূর্ণ হয়। কথাকলি দেব তাঁকে হুবহু ফুটিয়ে তোলেন। শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ের পত্রপাঠে যা আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। যথাযথ সৌভিক নাগ, গোপা আচার্য, সোনাল ভট্টাচার্যরাও। |