|
|
|
|
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলা |
তপন -সুকুরের সম্পত্তি আটক
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় অভিযুক্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের দুই ‘দাপুটে’ নেতা তপন ঘোষ ও সুকুর আলি’র অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। আদালতের নির্দেশে শুক্রবার সকালে পুলিশের একটি দল ওই দুই নেতার বাড়িতে পৌঁছয়। তপন ঘোষের বাড়ি গড়বেতার ধোবাবেড়ায়। অন্যদিকে, সুকুর আলি’র বাড়ি গড়বেতারই খড়কুশমায়। দুই নেতার বাড়ি থেকে খাট, ফ্যান, টেবিল, চেয়ার প্রভৃতি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আগেই এঁদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছিল হলদিয়া আদালত।
২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির এক মিছিল হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। মিছিলটি নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া থেকে মহেশপুর পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। যাওয়ার পথে গোকুলনগরের করপল্লির কাছে হামলা চালানো হয়। সংঘর্ষ বাধে। কয়েকজন জখম হন। এরপর থেকেই খোঁজ মিলছিল না ৯ জন তৃণমূল সমর্থকের। পরে ২ জনের দেহ মেলে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৭ জন।
রাজ্যে পালাবদলের পর নিখোঁজদের পরিবারের লোকজন কলকাতা হাইকোর্টে ‘হেভিয়াস কপার্স’ মামলা করেন। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে এই মামলার প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রাম নিখোঁজ কান্ডে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তদন্তে নেমে কয়েকজন সিপিএম নেতা - কর্মীকে গ্রেফতর করে সিআইডি। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি হলদিয়া আদালতে মোট ৮৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ে। এই মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। পরে অবশ্য তিনি জামিন পেয়েছেন। এখন এই মামলায় ১০ জন অভিযুক্ত জেলবন্দি রয়েছেন। বুধবারই হলদিয়া আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন মামলার অন্যতম দুই অভিযুক্ত অশোক বেরা ও বিজন রায়। এই দু’জন দীর্ঘদিন ধরেই ‘ফেরার’ ছিলেন। আত্মসমর্পণকারী দুই নেতাকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পলাতকদের বিরুদ্ধে ৮ অগষ্ট হুলিয়া জারি করেছে আদালত।
এই মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের সিপিএম নেতা অনিল পাত্র। তিনিও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। চলতি মাসের গোড়ায় তাঁর বাড়িতে গিয়েও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। শুক্রবার গড়বেতার দুই নেতার বাড়ি থেকে অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল। সুকুর আলি সিপিএমের গড়বেতা জোনাল কমিটির সম্পাদকের পদে রয়েছেন। সেই সঙ্গে জেলা কমিটির সদস্যও। তপন ঘোষ গড়বেতা জোনাল কমিটির সদস্য। সেই সঙ্গে জেলা কমিটির সদস্যও রয়েছেন। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই এই দুই নেতা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশে মতোই এদিন ওই দুই অভিযুক্তের বাড়ি থেকে তাঁদের অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরে সিআইডি এ সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতের কাছে জমাও দেবে। |
|
|
|
|
|