...গন্ধ এসেছে উষ্ণায়ন যেন অসুর

বিরাটি সন্ধানী সর্বজনীন:
কর্নাটকের রাজভবনের আদলে ৬০ ফুট উঁচু ও ৮৫ ফুট চওড়া মণ্ডপ। সাবেক প্রতিমা।

চার ও পাঁচ নম্বর মহাজাতি নগর সবর্র্জনীন:
রজত জয়ন্তী বর্ষে পাটের দড়ি, প্লাই ও শোলা দিয়ে তৈরি পৌরাণিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। সাবেক প্রতিমা ও চন্দননগরের আলোকসজ্জা।

হিন্দুস্থান ভলান্টিয়ার সর্বজনীন:
জয়পুরের বিড়লা মন্দিরের আদলে মণ্ডপ।

এয়ারপোর্ট এক নম্বর গেট ও বিরাটি মোড় সংলগ্ন এলাকার পুজোকমিটি:
মণ্ডপে থাকছে তিনটি চূড়া। লোহার পাইপ দিয়ে তৈরি মণ্ডপ প্লাই ও ফাইবার দিয়ে মুড়ে ফেলা হবে। জয়পুরের শিল্প তুলে ধরা হবে ফেব্রিকে। সাবেক প্রতিমা।

বিরাটি ইয়ং রিক্রিয়েশন সর্বজনীন দুর্গোৎসব:
সাবেক মণ্ডপ। বিজয়া দশমীর দিন ধুনুচি নাচ।

নিমতা উত্তর শিবাচল উন্নয়ন সমিতি সর্বজনীন:
বাঁকুড়ার শিল্পীদের তৈরি পশুপাখির পুতুল দিয়ে সাজানো হবে পুতুলঘরের আদলে তৈরি মণ্ডপ। চটের উপরে আঁকা বাঁকুড়া-মেদিনীপুরের গ্রামীণ আদিবাসী জনজীবন তুলে ধরা হবে অন্দরসজ্জায়।

নিমতা-মাঝেরহাটি ললিত গুপ্ত স্ট্রিট সর্বজনীন:
কোনারকের মন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপ। কৃষ্ণনগরের পোড়ামাটির প্রতিমা। এ বছর ৬৫ তম বর্ষে প্রাচীন স্থাপত্যের আবহ। ৫০ ফুট উঁচু ও ৫০ ফুট চওড়া মণ্ডপের গায়ে জরির নকশা। সঙ্গে বাহারি আলোকসজ্জা।
নিমতা নতুন পল্লি সর্বজনীন: এ বারের থিম দূষণ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। বায়ু-দূষণে ভারাক্রান্ত পরিবেশে অবলুপ্তির পথে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী। তাদের সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। সেই বার্তা দিতে মণ্ডপসজ্জায় থাকছে বৃক্ষরোপণ। সঙ্গে নারকেল গাছের গায়ে বিভিন্ন নকশা ও বাবুই পাখির বাসা। মণ্ডপের প্রবেশদ্বারে থাকছে ১২ ফুট উচ্চতার কৃষকের মডেল। বেনারসি শাড়িতে সজ্জিত সাবেক প্রতিমা।

নিমতা পলিমঙ্গল সমিতি:
স্বামী বিবেকানন্দের জন্মের সার্ধশতবর্ষ স্মরণে মণ্ডপসজ্জা। ভিতরে স্বামীজির ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠা, শিকাগো শহরে বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলন পর্যন্ত জীবনের বিভিন্ন ঘটনা মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। প্রতিমা হবে সাবেক আদলে।

নিমতা সুভাষ সঙ্ঘ সর্বজনীন:
এ বার ৮৯তম বছরে ভুটানের বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। ১০ চালা মণ্ডপের ভিতরে চামচ এবং থার্মোকলের কারুকাজ। সাবেক প্রতিমা।

নিউ ব্যারাকপুর পূর্ব কোদালিয়া পল্লি উন্নয়ন সঙ্ঘ সর্বজনীন:
৬১তম বছরে বাঁকুড়ার আদিবাসী গ্রামের আদলে মণ্ডপ। বাঁকুড়ার আদিবাসীরা নিজস্ব সংস্কৃতি মেনে উৎসব পালন করবেন মণ্ডপে। দেবী দুর্গার সঙ্গে পুজো হবে মারাংবুরু দেবতারও। থাকবে আদিবাসী নাচ। পাহাড়-জঙ্গলের পরিবেশে পাথুরে দুর্গা।
সতীন সেন নগর মহাজাতি পরিষদ: ৫৯তম বর্ষে পাটের তৈরি মণ্ডপে উষ্ণায়নকে দেখা যাবে অসুর রূপে। দেবী এখানে ধ্বংসের পরিত্রাতা। ৭৫ ফুট উঁচু ও ৭০ ফুট চওড়া মণ্ডপের ভিতরে পটে পাটের চিত্রে ফুটিয়ে তোলা হবে সবুজায়নের ধ্বংস। জল ও অক্সিজেনের অভাবে মরছে প্রাণীকুল। মণ্ডপটি তৈরি হবে গুজরাতের শিল্পরীতি মেনে। থাকছে ৪০০ বাতির ঝাড়লণ্ঠন।

পূর্বাচল সর্বজনীন:
বৃদ্ধাশ্রমের আদলে মণ্ডপ। শৈশব থেকে বার্ধক্য এবং শ্মশানে শেষকৃত্যের পর্বে অভিনয় করবেন ২৫ জন শিল্পী।

তরুণ সঙ্ঘ সর্বজনীন:
অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে ফাইবারের তৈরি তিন চালার মণ্ডপ। চন্দননগরের আলোকসজ্জা। পাশের পুকুরে থাকবে ফোয়ারা। রোজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বিদ্রোহী স্পোর্টিং ক্লাব:
পাহাড়ি এলাকার নাটমন্দিরের আদলে মণ্ডপ। ১১টি নাটমন্দিরে থাকবে প্রতিমা। মূল মণ্ডপ তৈরি হবে প্যারিস ও প্লাই দিয়ে। গুহার মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে পাহাড়ে উঠে নাটমন্দির দেখে মূল মন্দিরে নামতে হবে।

মাসুন্দা অগ্রদূত সঙ্ঘ সর্বজনীন:
৬০তম বর্ষে বিষ্ণুপুরের গ্রামীণ সমাজের আদলে তৈরি মণ্ডপ। দেবীমূর্তি ৩০০ বছরের পুরনো।

ছবি: শান্তনু হালদার ও সুদীপ ঘোষ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.