|
|
|
|
|
|
|
পাস্তার খেল |
আমেজে ইতালি
সোমঋতা ভট্টাচার্য |
|
শোনা যায়, এক জন ইতালিয়ান বছরে ৬০ পাউন্ডেরও বেশি পাস্তা খেয়ে থাকেন। এই হিসেবটা যদি সত্যি হয়, তা হলে আমেরিকানরাও গুনে গুনে গোল খেয়ে যাবেন। তবে, এমন হিসেবে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। কারণ, পাস্তা তো ইতালীয় ডেলিকেসি-ই। আর ইতালিয়ানরা যে দেশেই গিয়েছেন, তাঁদের পাস্তা-প্রীতিটাকে ভাল মতো গেঁথে এসেছেন। এই যেমন ধরুন বাঙালিরা। চিনা-জাপানি-ফরাসি-ইতালীয়, সব খাবারেই তাঁদের সমান রুচি। আর পিৎজা বা পাস্তা তো স্যাটেলাইট চ্যানেলের মতো ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছে। দোকান থেকে কিনে তো খাওয়াই যায়, বাড়িতে বানানোও এখন আর তেমন কঠিন কিছু নয়।
আসল ইতালীয় ফ্লেভার তাতে থাক বা না থাক, মুখরোচক তো বটেই। সামনেই পুজোর মরসুম। এই সময়ে নতুন জামা কেনার মতো খাবারদাবারেও কিছু বদল আনতে সাধ যায়। তার ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত শহরের প্রায় সব রেস্তোরাঁই।
তবে, যদি চান আসল ইতালীয় স্বাদের সঙ্গে মোলাকাত, চলে যেতে পারেন ‘ক্রিম সেন্টার’ রেস্তোরাঁয়। সেপ্টেম্বরের বিশেষ খাদ্য-উৎসবে সেখানে বেক্ড পাস্তা আর থিন ক্রাস্ট পিৎজার এক অনন্য সম্ভার পেয়ে যাবেন। আর নিরামিষ খাইয়েদের জন্য সুখবর। সব ক’টি পদই আমিষ-বর্জিত। তা সে স্মোক্ড বেল পেপার সস, লাল-হলুদ ক্যাপসিকাম আর চার রকমের চিজ সসের মিশেলে বেক করা খাস পেনে অ্যাল ফর্নো পাস্তাই হোক বা সাদাসিধে ওনিয়ন ক্যাপসিকাম পিৎজা। |
|
থিন ক্রাস্ট পিৎজার কুড়মুড়ে ব্যাপারটাই দারুণ! তালিকায় রয়েছে মার্গেরিটা, ফোর মাশরুম চিজ, ব্ল্যাক পেপার আমেরিকান কর্ন, গ্রিল্ড অ্যান্ড হার্বড ভেজিটেব্ল, রাস্টিক ইতালিয়ান আর স্পাইসি ভেজিটেব্ল রাঞ্চ পিৎজা। তার কোনওটায় রয়েছে রাস্টিক ইতালিয়ান সস, অলিভ তেলে ম্যারিনেটেড বেল পেপার, তো কোনওটায় আমেরিকান কর্ন, ওরিগ্যানো, অয়স্টার বা টাটকা মাশরুম।
পাস্তার রকমফের অনেক পেনে, ম্যাকারনি, স্প্যাগেটি আরও কত কী! দিন কুড়ির খাদ্য-উৎসবে দেখা মিলবে সবেরই। পেনে অ্যারাবিয়াতায় পেনে পাস্তা ক্যাপসিকাম আর হার্বড ইতালিয়ান টমেটোর সঙ্গী। ফোর মাশরুম পেনে পাস্তায় পোরসিনি, অয়স্টার, শিটাকে মাশরুমের সঙ্গত আর রোস্টেড মাশরুমের টপিং। আর যদি খেতে চান ম্যাকারনি, বেছে নিতে পারেন ব্ল্যাক পেপার সস, চিজ হার্ব সস অথবা আমেরিকান কর্ন চিজ বলের ফ্লেভার।
গ্রিল্ড ভেজিটেব্ল বেসিল টমেটো স্প্যাগেটিতে আছে তুলসির স্বাদ। তবে সেটাকে যখন হার্বড ইতালিয়ান টমেটো সস আর বেল পেপার, বেবি কর্নের সঙ্গে গ্রিল করা হয়, তার ‘স্পাইসি’ অনুষঙ্গ দিব্যি লাগে। অলিভ তেলের ‘বেস’টা তো ‘মাস্ট’। ফোর মাশরুম অ্যান্ড ফোর চিজ পেনেতে আবার রয়েছে চার রকমের মাশরুম ও চিজের বৈচিত্র্য। সঙ্গে পেনে অ্যারাবিয়াতা, ম্যাকারনি ম্যাজিক আর পাস্তা-ইন-পাস্তা।
সপ্তাহ জুড়ে যদি তুখোড় ডায়েট চলে, সপ্তম দিনটায় একটু-আধটু চিজে আঙুল ডোবালে মন্দ কী! আজকাল তো ডাক্তারেরা বলেই থাকেন, মাঝেমধ্যে খাবারে ফ্যাটের আধিক্যও জরুরি। তবে আর দেরি কীসের? এই শনি-রবি জমে যাক ইতালি-আমেজে!
|
|
|
|
|
|