বড় দলগুলোর সঙ্গে ছোট দেশগুলোর যুদ্ধ মোটামুটি শেষ। এ বার হেভিওয়েটদের নিজেদের মধ্যে লড়াই শুরু।
সোজা কথায়, ঘ্যানঘ্যানে একপেশে ম্যাচ ছেড়ে এ বার টগবগে উত্তেজনার শুরু। যার প্রথম দু’টো ম্যাচ শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শ্রীলঙ্কায় হলেও উপমহাদেশের বাইরের টিমগুলোও কিন্তু উইকেট থেকে ফায়দা তুলছে। তাতে ম্যাচও জমে যাচ্ছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে আইসিসি-র পিচ কনসালট্যান্ট অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনের জন্য। নিট ফল, মন্থর-নিচু বাউন্সের পিচ উধাও! স্পিনারদের চিন্তায় রেখে বল ঘুরছেও কম।
হাম্বানটোটায় শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে বোঝা যাবে দু’টো টিমের আসল শক্তি কতটা। আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দেখতাম সব সময় একজন বাড়তি বোলার নিয়ে নামছে। আর হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেই দেখতাম ওরা ডুবছে ব্যাটিং লাইন আপে গভীরতার অভাবে। কিন্তু জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রোটিয়াদের যে টিমটা নামল, তাদের ব্যাটিং গভীরতা যেমন ভাল, তেমনই একজন বাড়তি বোলারও ওরা খেলাতে পারছে। মানে, ওদের দলের ভারসাম্যটা এ বার ঠিক রয়েছে। যদি নার্ভ ধরে রাখতে পারে তা হলে কিন্তু টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে নজর রাখতেই হবে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকানদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা অজন্তা মেন্ডিসকে সামলানো। শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি দলেও অজন্তা একটা নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে।
আবার ক্রিকেট রোম্যান্টিকতার প্রতি যাঁদের আগ্রহ আছে, তাঁরা কিছুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ না দেখে থাকতে পারবেন না। মন বলছে, ক্রিস গেইলের হাত ধরে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের পূনর্জন্ম আমরা দেখতে চলেছি। সারা বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি খেলে-খেলে গেইল খেলাটার প্যাটার্নই বদলে দিয়েছে। তা ছাড়া আছে ব্র্যাভো-পোলার্ড-ডোয়েন স্মিথের মতো ক্রিকেটার, যারা উপমহাদেশের পরিবেশ চেনে। বোলিংয়ে থাকছে সুনীল নারিন। শনিবার ওদের এমন দলের বিরুদ্ধে নামতে হচ্ছে যারা কি না বহু দিন পর ফেভারিটের তকমা ছাড়াই কোনও টুর্নামেন্ট শুরু করছে। প্রতিভার অভাব নেই অস্ট্রেলিয়াতে। কিন্তু ওদের বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আর সেই কারণেই টিমে ডেভিড হাসিকে প্রথম এগারোয় রাখা দরকার। ক্রিকেটের এই ছোট ফর্ম্যাটে পাওয়ারহাউস বলতে যা বোঝায় ও তাই।
|
পিটারসেন এখনও আশাবাদী
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং আসন্ন ভারত সফরে বাদ পড়লেও এসএমএস কেলেঙ্কারিতে জড়িত কেভিন পিটারসেন আশাবাদী, আগামী বছরের গোড়ায় ইংল্যান্ডের নিউজিল্যান্ড সফরের দলে তিনি থাকবেন। আজ পিটারসেন টুইট করেছেন, “আশা করি আমাকে ঘিরে সব সমস্যা মিটে যাবে। আমি ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাব।” এ দিকে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রস আজ জানিয়েছেন, তাঁর কাছে পিটারসেন ক্ষমা চেয়েছেন, বিতর্কিত এসএমএস কাণ্ডের ব্যাপারে। “আমাদের মধ্যে খুব ভাল কথাবার্তা হয়েছে এবং কেপি আমার কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছে। এ বারের গ্রীষ্মটা সবার কাছেই খুব ভজগট গিয়েছে।” অন্য দিকে, ইংল্যান্ডের নতুন অধিনায়ক কুক-ও আশাবাদী মন্তব্য করেছেন, “কেভিনের বিষয়টা মিটে গেলে ওকে নিশ্চয়ই আমাদের দলে আবার পাব।” |