পাঁচ বছর আগে তাঁর ব্যাটিং-তাণ্ডবে ঠিক এ রকম ভাবেই বোধন হয়েছিল আইপিএল-ওয়ান-এর। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামকে স্তম্ভিত করে কেকেআর ওপেনার উদ্বোধনী ম্যাচেই আরসিবি-র বিরুদ্ধে করেছিলেন ২০ ওভারে অবিশ্বাস্য ১৫৮ নট আউট! যে রেকর্ড আইপিএলে আজও অটুট। শুক্রবারের পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামও ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ব্যাটে আরও একটা বিশ্ব রেকর্ডের সাক্ষী থাকল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে দু’টো সেঞ্চুরি করার ইতিহাস গড়লেন নিউজিল্যান্ডের মহামারকুটে ব্যাটসম্যান। করলেন আম্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। তিন নম্বরে নামা ম্যাকালামের ৫৮ বলে ১২৩ রানের (১১X৪, ৭X৬) তাণ্ডবে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের প্রথম ম্যাচেই জ্বলে উঠল নিউজিল্যান্ড (২০ ওভারে ১৯১-৩)। যাদের টুর্নামেন্টের ‘ডার্ক হর্স’ বলছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ অনেক বিশেষজ্ঞই। |
গত আইপিএলে কেকেআরে প্রত্যাবর্তন ঘটানো ম্যাকালামের এর আগের আম্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি ছিল ২০১০-এ ক্রাইস্টচার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১৬ নট আউট। যে ম্যাচে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে বল করা শন টেট আর ডার্ক ন্যানেসকে বেধড়ক ঠ্যাঙানোর পরে ম্যাকালাম নিজেই নিজের নামকরণ করেছিলেন ‘ব্রাশ’। আজ ম্যাকালামের ১২৩ রানের ঝড়ে ভেঙে গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রিস গেইলের এবং সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ড লেভি-র আগের সর্বোচ্চ রানের (দু’জনেই ১১৭) রেকর্ড। এ দিন প্রথম ৪ ওভারে গুপ্টিলকে হারিয়ে খোঁড়াতে থাকা নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংকে পরের ১৬ ওভার ফোর্থ গিয়ারে চালনা করার পরে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর ব্যাটসম্যান ম্যাকালাম। মূলত তাঁর সৌজন্যেই নিউজিল্যান্ড শেষ ৫ ওভারে ৬৮ রান তোলে। সাকিব আল হাসানকে (৪ ওভারে ০-৪০) তাঁর খেলা ২০টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে সবচেয়ে খারাপ বোলিং হিসেব নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। এর পরে ম্যাচের ভবিতব্য নিয়ে বিশেষ কারও সন্দেহ ছিল না। এবং প্রত্যাশিত ভাবেই বাংলাদেশকে (১৩২-৮) ৫৯ রানে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড দুরন্ত শুরু করল।
|
রান ১২৩
সময় ৭২ মিনিট (টি-টোয়েন্টিতে সময়ের বিচারে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি)
স্ট্রাইক রেট ২১২.০৬ |
‘‘এক-একটা দিন সবই ঠিকঠাক হয়। আজ মিস হিটেও ওভার বাউন্ডারি পেয়েছি। ঢাকায় সিরিজের পরে ওদের বাঁহাতি স্পিনারদের নিয়ে হোমওয়ার্ক করার সুফল পেলাম।” |
|