টেলকনে চাকরি চেয়ে বিক্ষোভ জমিদাতাদের
কারখানায় চাকরির দাবিতে এ বার অনশনে বসার হুমকি দিলেন জমিহারা পরিবারের ছেলেরা। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না- হলে অনশনে বসার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার জমিহারা পরিবারের বেশ কয়েকজন যুবক কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। স্মারকলিপিও দিয়ে চেয়েছিলেন। যদিও কর্তৃপক্ষ ওই স্মারকলিপি নেননি বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের পক্ষে রক্তিম ঘটক বলেন, “কারখানা যে জায়গায় গড়ে উঠেছে, সেখানে আমাদের পরিবারের জমিও রয়েছে। কথা ছিল, জমিহারা পরিবারপিছু একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। তবে জমি দিয়ে অনেকেই এখনও চাকরি পাননি। আমরা আজ স্মারকলিপি দিয়ে চেয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ নেননি। জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রশাসন দেখছে।” তাঁর কথায়, “আগেও চাকরির দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেছি। মহকুমাশাসকের কাছে গিয়েছি। ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এই সময়ের মধ্যে প্রশাসনের উদ্যোগে এক বৈঠক হওয়ার কথা। না- হলে আমরা অনশন শুরু করব।”
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
খড়্গপুরের বিদ্যাসাগর শিল্পতালুকে গড়ে উঠেছে টাটা টেলকন কারখানা। এই কারখানার জন্য যে সব পরিবার জমি দিয়েছে, সেই সব পরিবারের একাংশ চাকরির ক্ষেত্রে এখনও বঞ্চিত বলে অভিযোগ। বছর দুয়েক আগে কারখানাটি চালু হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম তাঁদের জমি দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা সরাসরি কারও কাছ থেকে জমি কেনেননি। শিল্পোন্নয়ন নিগমের উদ্যোগেই খড়্গপুরের রূপনারায়ণপুর ও তার আশপাশের প্রায় ১ হাজার ২৫০ একর জায়গার উপর বিদ্যাসাগর শিল্পতালুক গড়ে উঠেছে। শিল্পোন্নয়ন নিগম তাঁদের যে জমিহারা পরিবারের তালিকা দিয়েছিল, তার পরিবারপিছু একজনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কারখানায় কাজ দেওয়া হয়েছে। ওই কারখানার এক আধিকারিকের কথায়, “আমরা তা শিল্পোন্নয়ন নিগমের কাছ থেকে জমি নিয়েছি। তাই এ ক্ষেত্রে আমাদের সরাসরি কিছু করার নেই।” যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি মানতে নারাজ শ্রমিক সংগঠনগুলি। খোদ ‘শাসক’ দল তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র নেতা দেবাশিস চৌধুরী বলেন, “এক সময় যাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের সকলকেও কাজে নেওয়া হয়নি। আমরা চাই, জমিহারা পরিবারের একজনকে কারখানায় চাকরি দেওয়া হোক।” তাঁর কথায়, “আগেও এই দাবিতে আন্দোলন করেছি।” সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি’র নেতা বিপ্লব ভট্ট বলেন, “জমিহারা পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষের উচিত, এ ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ করা।” জমিহারা পরিবারের ছেলেদের দাবি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে মহকুমা প্রশাসন। প্রশাসনের বক্তব্য, আলোচনার রাস্তা সব সময়ই খোলা রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হতে পারে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.