ধর্ষণের চেষ্টার নালিশ, তান্ত্রিক ধৃত গোঘাটে
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
‘ভূত তাড়ানো’র অছিলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে গ্রামবাসীরা পুলিশের হাতে তুলে দেন। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের জগৎপুর গ্রামে। পুলিশ জানায় ধৃতের নাম দেবাশিস রায়চৌধুরী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের পল্লিশ্রীর বাসিন্দা বছর তিরিশের ওই গৃহবধূর গত বছর দেড়েক ধরে শরীরে যন্ত্রণা হত। বধূর শ্বশুর ও শাশুড়ি জানান, “বৌমাকে অনেক ডাক্তার দেখানো হয়েছে কিন্তু ব্যথা সারেনি। এই তান্ত্রিকের খবর পেয়ে আমরা আসি। সে বলে জিনে ধরেছে, তাড়াতে হবে। আমাদের ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। সে ঘর বন্ধ করে দেয়। কিছু ক্ষণের মধ্যে বৌমার কাতরানি শুনতে পাই। আমরা তান্ত্রিককে ঘর খুলতে বললে সে বলে জিন চলে যাচ্ছে বলে অমন চেঁচাচ্ছে। কিন্তু চিৎকার বাড়ছে দেখে জোর করে ঘরে ঢুকে যাই। দেখি বৌমাকে নগ্ন করে সারা একটি লাল কাপড়ে ঢাকা দিয়েছে। আর বুক থেকে তলপেট অবধি ব্লেড দিয়ে অসংখ্য জায়গায় চেরা। আমরা তখন স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানাই।” এরপর স্থানীয় লোকজনের চেষ্টায় বধূকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গণধোলাইয়ে তান্ত্রিকের কপাল ফেটেছে। তাঁর অবশ্য দাবি, “ওটাই চিকিৎসা। খারাপ মতলব ছিল না।”
|
রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত
নিজস্ব সংবাদদাতা • চণ্ডীতলা |
রাস্তার ধার থেকে একটি সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে উদ্ধার করলেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে চণ্ডীতলার কুমিড়মোড়ায়। পুলিশ শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কুমিড়মোড়ার ওস্তাগরপাড়ায় ফুটফুটে শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। এক গ্রামবাসী তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। পুলিশে খবর দেওয়া চণ্ডীতলা থানায়। থানার ওসি দেবনাথ সাঁধুখা শিশুটিকে চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সুপার শ্যামলকুমার চক্রবর্তী বলেন, “বাচ্চাটির শারীরিক অবস্থা ভালই আছে। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আপাতত নার্স এবং কর্মীরাই ওর দেখভাল করবেন।” এ দিকে, ঘটনার খবর ছড়াতেই শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার আবেদন জমা পড়তে শুরু করে চণ্ডীতলা থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, দত্তক নিতে হলে সরকারি নিয়ম মেনেই তা করতে হবে। পুলিশের অনুমান, কন্যাসন্তান হওয়াতেই শিশুটিকে ফেলে যাওয়া হয়েছে। |