জেলা পরিষদের সঙ্গে ঠিকাদারের চাপান-উতোরের জেরে একটি রাস্তা তৈরির কাজ প্রায় ছ’মাস ধরে থমকে রয়েছে হাওড়ার ডোমজুড়ে। এর ফলে, সমস্যায় ভুগছেন অন্তত ৪টি গ্রামের মানুষ।
ডোমজুড়ের বাঁধের বাজার থেকে ভাদুয়া পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার ওই ইটের রাস্তা পাকা করার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ২০১০ সালের অগস্ট মাসে ওই রাস্তা পিচ ঢেলে পাকা করার কাজ শুরু হয়। বরাদ্দ হয় ৩ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা। প্রথমে রাস্তার সমস্ত ইট তুলে ফেলে মোরাম ফেলা হয়। তার পরে শুরু হয় পিচ ঢালার কাজ। সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশে পিচ ঢালা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বাকি অংশের কাজ হয়নি। গত প্রায় ৬ মাস ধরে কাজ একেবারেই বন্ধ। ফলে, বর্ষায় প্যাচপ্যাচে কাদায় বেহাল হয়ে পড়েছে ওই অংশ। মহিষগোট, মহিষনালা, চকহরিশপুর এবং ভাদুয়া মূলত এই চারটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এর ফলে যাতায়াতে সমস্যায় পড়ছেন। এই রাস্তার ধারে একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাইস্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং ডাকঘর রয়েছে। ছাত্রছাত্রী-সহ বহু মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করেন। কিন্তু সাইকেল, রিকশা, ভ্যান, মোটরবাইক চলাচল করছে বিপজ্জনক ভাবে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কাজ কবে শেষ হবে, ঠিকাদার বা জেলা পরিষদের কর্তারা স্পষ্ট ভাবে তা বলছেন না।
মহিষগোট গ্রামের বাসিন্দা হরিরাম সাঁতরা বলেন, “প্রতি দিন কাদা ভেঙে যাতায়াত করা দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনা লেগেই আছে। কবে যে কাজ শেষ হবে!”
সংশ্লিষ্ট কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার সুফল হালদার বলেন, “ওই রাস্তার অনেকটা অংশের কাজই শেষ হয়েছে। কিন্তু তার টাকা এখনও জেলা পরিষদের থেকে পাইনি। ওই টাকা না পেলে পরবর্তী কাজ করতে পারছি না।”
সিপিএম পরিচালিত জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায় আবার বলেন, “ওই রাস্তার যে পরিমাণ কাজ হয়েছে, তার টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার বেশি কাজ করেছেন বলে দাবি করছেন। এটা ঠিক নয়। সেই কারণে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। তা মিটে গেলেই কাজ আরম্ভ হবে।” |