টিকিট কাটতে দেরি হওয়ায় শুক্রবার সকালে আরামবাগ স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের উপরে চড়াও হলেন যাত্রীরা। ভাঙা কাচের টুকরোয় আহত হলেন টিকিট কাউন্টারের কর্মী।
রেল সূত্রের খবর, প্রতিদিন সকালের ট্রেনে ৭০০ থেকে ৮০০ লোকের ভিড় হচ্ছে। ট্রেনের পরিমাণ, সময়সূচি নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভ রয়েছে। তার উপর, একটি মাত্র কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় যাত্রীদের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। এ দিন সে কারণেই কাউন্টারের কাচ ভেঙে দেন যাত্রীরা। রেলকর্মী প্রতিম ভট্টাচার্যের পেটের ডান দিকে কাচের টুকরো বিঁধে যায়। আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। প্রীতমবাবু বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।” ওই শাখার নিত্যযাত্রী শান্তনু বসু, আশিস দেবনাথ, শেখ সাহাজামাল, দিপালী রায়দের বক্তব্য, “যাত্রীর চাপ বাড়ছে। আরামবাগ মহকুমা ছাড়াও সংলগ্ন বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ রেলপথের সুযোগ নিচ্ছেন। এমন অবস্থা যে, টিকিট কাটতে কাটতেই ট্রেন বেরিয়ে যাচ্ছে। স্টেশনে ট্রেন ঢোকার ঘোষণাও ঠিকমতো হচ্ছে না।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরামবাগে রেলপথের উদ্বোধন করেন গত ৪ জুন। বিদ্যুদয়নের কাজ শেষ না হওয়ায় ডিজেলচালিত ট্রেন চালানো হয়। গত রবিবার থেকে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চলছে। আপাতত ৩ জোড়া ট্রেন চলছে। ডাউনে আরামবাগ থেকে সকাল ৭টা ১০, দুপুর ১২টা ২০ এবং রাত ৯টা ১৫ মিনিটে ট্রেন ছাড়ছে। আপে হাওড়া থেকে ভোর ৪টে ২২, সকাল ৯টা ৫৫ এবং সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে ট্রেন ছাড়ছে। সকালের ডাউন ট্রেনটিতে ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। অন্য ট্রেনগুলিতেও ভালই ভিড় হচ্ছে। সকাল ৬টা এবং সকাল ৯টা নাগাদ আরও একটি করে ডাউন ট্রেনের দাবি রয়েছে নিত্যযাত্রীদের। রেল সূত্রের খবর, গত সোমবার থেকে আরামবাগ স্টেশনে গড়ে ১৩ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামী বলেন, “যাত্রীদের অসুবিধাগুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। টিকিট বিক্রির হার খতিয়ে দেখে ট্রেন এবং টিকিট কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হবে।” |